আশিক মুন্না | গভীর রাতের হিমেল হাওয়ায় নিজেকে গুটিয়ে রাখা, ভোরে পাখির কিচিরমিচির শব্দ- এ রকম প্রকৃতির নানা আচরণেই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা । কুয়াশার চাদর দিয়ে প্রকৃতি ঢেকে দিয়ে নিজের রাজত্ব কায়েম করতে আসছে শীত।
শীতকাল আসলেই আমাদের সবারই বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হয়। উত্তর বাংলায় শীতের প্রকপ অনেক তীব্র। এই শীতে পরিবারে নবজাতক থেকে শুরু করে বয়জৈষ্ট পর্যন্ত সবারই আলাদা আলাদা যত্ন নিতে হয়।
কিছু সহজ বিষয় মেনে চললে বিভিন্ন রোগবালাই ও অন্যান্য সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিচে সেসব বিষয় দেওয়া হলো:-
১. শীত আসলেই দেখবেন, যে ত্বক বা চর্মের উপরিভাগ ফেটে যাচ্ছে বা শুকিয়ে যাচ্ছে, ঠোঁট শুকিয়ে যাবে। শরীরে একটু রুক্ষ রুক্ষ ভাব থাকবে। তার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী যেমন- পেট্রোলিয়াম জেলি, স্নো ক্রিম, লিপজেল, অলিভ অয়েল, বডি লোশন ইত্যাদি কিনে রাখুন।
২. শীতের জামাকাপড় যদি থাকে তাহলে সেগুলো ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে নিন। যদি কেনার থাকে তাহলে প্রয়োজনমত স্যুট, প্যান্ট, সোয়েটার, কার্ডিগান, জ্যাকেট, ব্লেজার, ফুলহাতা গেঞ্জি, শার্ট-প্যান্ট, মাফলার, পাদুকা, মোজা, হাত মোজা, কানটুপি ইত্যাদি এখুনি কেনা শুরু করে দিন।
৩. শীত মোকাবেলার জন্য গরম জিনিসপত্র যেমন ল্যাপ, কম্বল, কাঁথা, জাজিম ইত্যাদি তৈরি না থাকলে এখুনি তৈরি করতে দিন।
৪. শীতকাল নানা রকম তাজা শাক সবজির জন্য শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময়ে বাজারে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি যেমন- ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, শিম, মূলা, লাউ শাক, কুমড়া শাক ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়
যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন থাকে। তাই শরীরে ভিটামিনের চাহিদা পূরণের জন্য এ সময় প্রতিদিন নিয়ম করে শাক সবজি খান। এতে আপনার ত্বক সুন্দর ও স্বাভাবিক থাকবে।
৫. এছাড়াও ঠাণ্ডাজনিত জ্বর, সর্দি কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদির জন্য আদা-লেবুর চা, হাল্কা গরম পানি, মধু খুব উপকারী।
৬. কয়েক বছর ধরে ব্যবহার করা লিনেন বা উলের সোয়েটার, চামড়ার জ্যাকেট, মাফলার, কানটুপি, লেপ, কম্বল বা চাদর গুলোর যত্ন নেয়া শুরু করুন এখন থেকেই। আর এজন্য এগুলো পুনরায় ব্যাবহার উপযোগী করতে এগুলোকে রোদে শুকিয়ে নিন।
৭. অনেকদিন ফেলে রাখার কারণে গরম কাপড় গুলো পোকা-মাকড় কেটে ফেলতে পারে। এজন্য ওই জায়গা গুলো রিপু করে নিলে তা পুনরায় ব্যাবহারের উপযোগী হয়ে উঠবে।
৮. ব্লেজার, কোট, জ্যাকেট ভালো করে নরম ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে, রোদে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। শীতকালে পরিবেশে ধুলাবালি ও ময়লা বেশি পরিমাণে হয়। তাই আপনার শরীর ও ত্বককে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক রাখুন।