রেজাউল সরকার রনি | সূদর কানাডা থেকে গতকাল নিজ গ্রাম-ঝাড়বাড়িতে এসেছে ধীমান সাহা । কানাডায় থাকেন অনেকদিন থেকেই । এসেছে তার বিবাহকার্য সম্পন্ন করতে, সাথে নিয়ে এসেছেন তার একজন কানাডিয়ান কলিগকে ।
চৌরাস্তার মোড়ে সাগর ভাইসহ দাড়িয়ে ছিলাম । সুজন দাদা এসে নিয়ে গেলেন প্রবাসী ধীমান সাহার সাথে দেখা করতে । তার বাসার পাশেই সেই কানাডিয়ানসহ বসে ছিলেন তারা । আমরা বাইক থেকে নেমেই ধীমান সাহার সাথে কথা বলে পরিচিত হই সেই কানাডিয়ান রমণীর সাথে । কানাডিয়ান রমণীর সাথে অবশ্য পরিচয়টা করিয়ে দেন ধীমান সাহা নিজেই ।
বাইক থেকে নামতেই আমার গলায় ঝুলে থাকা ক্যামরা দেখতেই কানাডিয়ান রমণী হাসির সাথে বলে ওঠেন, ” Nice Camera”. এরপর তিনিও তার ক্যামেরা দিয়ে আমার ফটো তুললেন সাথে আমি কিছু ফটো নিলাম । কথা হয় কিছুক্ষণ । রাস্তার পাশে অনেকেই দেখছেন তাকে । তিনিও অনেক খুশি । কিছু ফটো তুলে তাকে দেখাতেই খুশি হয়ে বলেন, ” these are very nice photo whice you have captured”.
তার স্বভাব আর কৌতূহল দেখে ইচ্ছে হলো তাকে নিয়ে একটি ফিচার গল্প লিখি । তাকে নিয়ে ফিচার গল্প লিখব শুনেই তিনি অনেক খুশি হন । এরপর তিনি বাংলাদেশে আসার অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং তার সম্পর্কে বলেন ।
তার নাম স্টেসি কাজাকোফ । পাওয়ার প্লানে কাজ করেন ধীমান সাহার সাথেই । বাংলাদেশের আসা নিয়ে প্রশ্ন করতেই বলেন তিনি অনেক খুশি, এমনকি তার পরিবারও অনেক উত্তেজিত । আরো বলেন, বাংলাদেশে মানুষকে তার অনেক ভালো লেগেছে । তাকে দেখতে আসা মানুষকে দেখে বলেন, তিনি এতটা আশা করেনি যতটা বাংলাদেশের মানুষ ভালো এবং সহজ সরল । এরপর সাগর ভাই তাকে ধীমান সাহার বিবাহ নিয়মকানুন শুনাতেই তিনি অবাক হয়ে যান ।
এসেছেন বাংলাদেশের কয়েকদিনের জন্য হয়ত শিখে যাবেন অনেককিছু । এদেশের মানুষ, সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং ঐতিহ্য ।
তিনি একজন কানাডিয়ান অথচ মুহুর্তেই বাংলাদেশের মানুষের সাথে মিশে গেলেন । একজন সহজ-সরল, হাসি-খুশি এবং অসাধারণ মানুষ স্টেসি কাজাকোফ । কয়েক মুহুর্তে শিখিয়ে দিয়ে গেলেন কীভাবে মানুষের সাথে মিশতে হয়