মোঃ আশিক মুন্না | শুধু সময়ের অপেক্ষা। শুরু হয়েছে খানসামা উপজেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিলের জন্য পদ প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাপ। এই প্রত্যাশা যেন দীর্ঘ ১৬ বছরের। তারপরেই রয়েছে বহু বছরের কাঙ্ক্ষিত ফল। খানসামা উপজেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর জন্য আস্থাশীল ব্যক্তিদের নামের তালিকা সবার সামনে তুলে ধরার।
কে হবে সভাপতি আর কে হবে সাধারণ সম্পাদক? প্রধান এই দুই পদ নিয়েই চলছে খানসামা উপজেলা ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ।
এর আগে , ২০০৩ সালে সর্বশেষ কাউন্সিলে এরশাদ জামানকে সভাপতি ও রেজাউল করিমকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। তারপর ২০১২ সালে রেজাউল করিমকে আহ্বায়ক করে কমিটি হয়।
দলের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ অর্থাৎ যারা দীর্ঘদিন ধরে দলের স্বার্থে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন এমন নেতাকর্মীদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চান তারা।
প্রধান দুই পদ নিয়ে দৌড়ঝাঁপের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য রাকেশ গুহ, আংগারপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক লিটন ইসলাম লিটু, আলোকঝাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান সুমন, আলোকঝাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য গোলাম মর্তুজা রতন,ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাওফিক আহম্মেদ শামীম, ছাত্রলীগ নেতা আবু নাসের সরকার, পাকেরহাট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোসাব্বের আলম, আংগারপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ডালিম কুমার রায়, আবু হেনা, ছাত্রলীগ নেতা সুমন ও আংগারপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য সুমন শাহ।
এবিষয়ে খানসামা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জানান ,যারা মেধাবী,কোনপ্রকার অসৎ কাজে লিপ্ত থাকে না বরং দলের জন্য ত্যাগী ও পরিশ্রমী তারাই নেতৃত্বে আসবে।
নতুন কমিটির ব্যাপারে দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম ইমতিয়াজ ইনান বলেন, যেসব নেতাকর্মী ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন ধরে করছে এবং যারা ছাত্রলীগের দুঃসময়ে পাশে ছিলো,যারা মেধাবী ও মাদক থেকে দুরে থাকে তারা তাদের সঠিক জায়গাটুকু পাবে। এছাড়াও তিনি বলেন, আমরা সম্মেলন চাচ্ছি। যদি সম্মেলন হয় তবে এর পরে যে ভালো হবে তাদেরই সঠিক পদ দেওয়া হবে।