বীরগঞ্জ নিউজ২৪ ডেস্কঃ
১৩টি উপজেলায় মোট ছয়টি সংসদীয় আসন নিয়ে দিনাজপুর জেলা। গত নির্বাচনের পরে এখন সবকটি আসনেই ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের প্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আছেন। এর মধ্যে অনেকেই রয়েছেন একাধিক মেয়াদে। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসনগুলোতে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মারাত্মক কোন্দল । অবস্থা এমন দিনাজপুর জেলার মোট ছয়টি সংসদীয় আসনের পাঁচটিতে ‘আওয়ামীলীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ’ই। এর মধ্যে দিনাজপুর-১ ও দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্যদের দলীয় নেতাকর্মীরা অবাঞ্চিতও ঘোষণা করেছেন কয়েক দফায়। বাদ বাকি তিনটি আসনে দেখা দিয়েছে উপদলীয় কোন্দল। আর এটিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। তবে বিএনপির মধ্যেও কোন্দল আছে, আছে নেতৃত্বের সংকটও। এদিক দিয়ে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে জামায়াত। তাদের লক্ষ্য ছয়টির মধ্যে দুটি আসন নিজেদের দখলে নেওয়া। দিনাজপুরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে নানান তথ্য তুলে ধরেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ‘বাংলা ট্রিবিউন’ ।
নানা তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে পত্রিকাটি তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে;
‘দিনাজপুর-১ আসন
জানা যায়,জেলার বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-১ আসন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। গোপাল এক সময় জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন। ২০০৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে জয়লাভের পর আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে ২০০৮ সাল ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন।
মূলত এই আসনে কোন্দল গোপালকে নিয়েই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালকে বহিরাগত, দুর্নীতিবাজ, বিএনপি-জামায়াতকে প্রশ্রয়দাতা হিসেবে আখ্যা দিয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে। এই আসন থেকে গোপাল ছাড়াও মনোনয়ন পেতে আগ্রহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া জাকা, উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আবু হুসাইন বিপু। এই মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক বছর ধরেই কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে গোপাল, জাকারিয়া, আমিনুল ও বিপুর সমর্থকরা।
কোন্দল ও অবাঞ্চিত ঘোষণার ব্যাপারে গোপাল বলেন, ‘দলীয় মনোনয়নকে সামনে রেখে গুটিকয়েক নেতা দলের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি করছেন, বিশৃঙ্খলা করছেন। ইতোমধ্যেই কেন্দ্র থেকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। আশা করি, দলের সিদ্ধান্তই সঠিক হবে এবং যোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগের এই কোন্দলকেই পুঁজি করে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হতে চায় বিএনপি। এখানে বিএনপির শক্ত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মনজু। তবে, মনজু ব্যবসায়ী হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই ঢাকায় কিংবা দেশের বাইরে থাকেন। এই অজুহাতে এই আসনে মনোনয়ন পেতে চান আরও দুই নেতা রেজয়ানুল ইসলাম রিজু ও খালেকুজ্জামান বাবু। তবে তাদের অবস্থান তেমন শক্ত নয়। সেদিক দিয়ে এই আসনে বিজয়ী হওয়ার মনোভাব নিয়ে প্রায় নিশ্চুপভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন বীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির বর্তমান পৌর মেয়র আলহাজ মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ। শোনা যাচ্ছে, বিএনপি ছাড় না দিলেও নির্বাচন করবেন তিনি।
দিনাজপুর-২ আসন
জেলার বোচাগঞ্জ ও বিরল উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-২ আসন। এই আসনের পর পর দুবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এই আসন থেকে মনোনয়ন পেতে চান দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়ের ছেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মানবেন্দ্র রায়ও (মানব)। এই আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে তেমন কোনও কোন্দল না থাকলেও, বিএনপির রয়েছে একাধিক প্রার্থী। এই আসনে নির্বাচন করতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ও বোচাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক। এ নিয়ে এই আসনে বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত ।
এছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ড. আনোয়ার চৌধুরী জীবন এবং বোচাগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জুলফিকার হোসেন এই আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।
দিনাজপুর-৩ আসন
জেলার সদর উপজেলাকে নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৩ আসন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এম. ইকবালুর রহিম। তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে ১০ বছর ক্ষমতায় থাকলেও দলের সব নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেননি তিনি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগের একাংশকে নিয়েই চলাফেরা করেন তিনি। জেলা আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন তাকে পাশ কাটিয়ে চলে। এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে চান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা আশফাক হোসেন ও ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল। জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরই ভিতরে ভিতরে এই দুজনের প্রতি সমর্থন রয়েছে। ফলে প্রকাশ্যে রুপ না নিলেও, দলের অভ্যন্তরে রয়েছে বিস্তর কোন্দল।
এদিকে, এই আসনে থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর তা না হলে মনোনয়ন চাইতে পারেন, দেলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম এবং খালেদা জিয়ার বড় বোনের ছেলে শাহরিয়ার আকতার হক ডন। তবে এ আসন নিয়ে দলের মধ্যে কোন্দল নেই। বিএনপি নেতাকর্মীদেরই মতে, এই আসনে দলীয় মনোনয়ন যাকে দেওয়া হবে, দেলের সবাই তার হয়েই কাজ করবেন।
দিনাজপুর-৪ আসন
চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে রয়েছে বিস্তর কোন্দল। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বেশিরভাগ সময়ই ঢাকায় থাকেন, এলাকার সঙ্গে তার তেমন সম্পৃক্ততা নেই। এলাকায় মন্ত্রীর সব ধরনের কাজ দেখেন তার ভাই এজেড মোহাম্মদ আলী শামীম। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা এবং তেমন মূল্যায়ন না কারায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তার প্রতি ক্ষুব্ধ। এখানে মনোনয়ন পেতে চান এই আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক হুইপ আলহাজ মিজানুর রহমান মানু ও চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং ল্যাব এইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিফ কনসালটেন্ট ডা. এম আমজাদ হোসেন। ইতোমধ্যেই আমজাদ হোসেন এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামও এই আসন থেকে মনোনয় পেতে চান। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হলেও এই আসেন বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি।
এই আসনে শুধু আওয়ামী লীগেই নয়, কোন্দল রয়েছে বিএনপির মধ্যেও। এখন থেকে মনোনয়ন পেতে চান ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ আখতারুজ্জামান মিয়া। এদিকে বিএনপির আরেক নেতা লুসাকা গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি হাফিজুর রহমান সরকার বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে চান। মনোনয়ন নিয়ে এই দুই নেতাকে ঘিরে নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
বিএনপির দলীয় কর্মসূচিগুলো ঠিকমতো পালন না হওয়ার সুযোগে এই আসনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ আলী খান মাঠ গুছানোর কাজে নেমেছেন। বিএনপির এমন কোন্দলে প্রার্থী হবেন চিরিরবন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক জামায়াত নেতা আফতাব উদ্দিন মোল্লা।
দিনাজপুর-৫ আসন
বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদের ভাণ্ডার পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৫ আসন। এই আসনে বিএনপি শক্ত অবস্থানে থাকলেও, আওয়ামী লীগের মধ্যে রয়েছে কোন্দল। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। মনোনয়নের আশায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন, দিনাজপুর জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া জাকির, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মাহমুদুন্নবী চৌধুরী, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাফেদ আশফাক তুহিন, পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দুল আলম শান্তু ও পার্বতীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এসএইচ সাজ্জাদ। তাদের সবার রয়েছে নিজস্ব সমর্থক। যাতে করে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা।
দুটি উপজেলাতেই সব ধরনের কার্যক্রম দেখাশোনা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর ভাই মুশফিকুর রহমান বাবুল। দলীয় নেতাকর্মীদের বড় অংশ বর্তমান সাংসদের সঙ্গে থাকলেও, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে।
এই আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য এজেডএম রেজওয়ানুল হক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মনসুর আলী এখন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাবেন। তবে যেই মনোনয়ন পাক এবার এই আসনটি ঘরে তুলতে বিএনপি একসঙ্গে কাজ করবেন বলে দলটির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
দিনাজপুর-৬ আসন
বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়েছে দিনাজপুর-৬ আসন। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এই আসনে ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত দলের নেতাকর্মীরা। গ্রুপগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন, বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফুজ্জামান মিতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. আজিজুল হক চৌধুরী। বর্তমান এমপি শিবলী সাদিক মনোনয়ন পাবেন কিনা এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। দলীয় মনোনয়ন পেলেও তার ওপর থেকে দলের নেতাকর্মীরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে জানা যাচ্ছে। সবার অভিযোগ– অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যেই ডুবে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে মিছিল সমাবেশও করেছেন নেতাকর্মীরা। একবার তাকে অবাঞ্চিতও ঘোষণা করা হয়েছিল। এই আসনে শরিক দল জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন বর্তমান সংসদ সদস্যের চাচা দেলোয়ার হোসেন।
অবাঞ্চিত ঘোষণার শিকার হওয়া সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক কোন্দলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলন, ‘দলীয় মনোনয়ন নিয়ে অনেকেই বিভক্ত হয়েছেন। মনোনয়ন কেউ চাইতে পারেন, কিন্তু তার মানে কেউ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারেন না। যারা এটি করছেন তারা আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে চলেন।’
এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাবেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান মিন্টু ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। বিএনপির পাশাপাশি জোটগতভাবে এখানে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল ইসলাম। এই আসনে জামায়াতের অবস্থান বিএনপির থেকে শক্ত বলে জানা যায়।
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা আশফাক হোসেন জানান, বড় দলে প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু কোন্দল নেই। যেসব হচ্ছে, তা কোনও বিষয় নয়। যে আসন থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার হয়েই কাজ করবেন নেতাকর্মীরা। আবারও ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগ মনোনীতরাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এজেএম রেজওয়ানুল হক জানান, দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা আছে। এটিকে কোনোভাবেই কোন্দল বলা যাবে না। একাধিক প্রার্থী থাকলেও একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হবে এবং তার হয়েই কাজ করবেন সব নেতাকর্মী। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি।’