‘যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্য রাজার পুণ্য দেশ’- খনার এই বচন অনুসারে মাঘের শেষের বৃষ্টিপাত কারও কারও জন্য পুণ্য বয়ে নিয়ে এলেও কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দিনাজপুরের ইটভাটা মালিকদের। গত দু’দিনের অসময়ে বৃষ্টিতে প্রতিটি ইটভাটার লাখ লাখ কাঁচা ইট বিনষ্ট হয়েছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ইটভাটা মালিকরা। অধিকাংশ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ইটভাটাগুলো সাময়িক বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের হিসাবমতে, দিনাজপুর জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে রয়েছে ২৬৫টি ইটভাটা। কিন্তু সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বৈধ ও অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে তিন শতাধিকের বেশি ইটভাটা।
প্রকৃতির নিয়মে প্রতিবছর এ সময়ে শুস্ক আবহাওয়া বিরাজ করায় এই সময়টিকে ইট তৈরির সময় হিসেবে বেছে নেন ইটভাটা মালিকরা। কাঁচা মাটি দিয়ে ইট তৈরি করে তা রোদে শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে প্রস্তুত করা হয় ইট। কিন্তু এবার মাঘ মাসের শেষের দিকে গত শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রাতে তা ক্রমে বাড়তে থাকে। শনিবার দিনভর চলে বৃষ্টিপাত। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের নশিপুরে বাজারে নির্মিত হোম ব্রিকসের ম্যানেজার সিদ্দিক হোসেন জানান, তাদের ইটভাটায় ছয় লাখ কাঁচা ইট রোদে শুকাতে দেওয়া আছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই এসব কাঁচা ইট রক্ষার্থে এক লাখ টাকার প্লাস্টিক কেনা হয়েছে। কিন্তু এরপরও তাদের প্রায় তিন লাখ কাঁচা ইট মাটির সঙ্গে মিশে কাদা হয়েছে।
#samakal