অপরাধ ডেস্কঃ
রংপুরে চাঞ্চল্যকর বিশেষ জজ আদালতের সরকারী কৌশলী অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম মাস্টার মারা গেছেন।
শনিবার ভোরে কারাগারে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। রংপুর জেল সুপার রত্মা রায় সমকালকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কামরুল ভোরের দিকে চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় জানালা দিয়ে কারা পুলিশ বিষয়টি দেখে ছুটে যা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক অজয় কুমার নাথ বলেন, হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছে। বর্তমানে লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাতে অ্যাডভোকেট বাবু সোনাকে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী সিগ্ধা ও তার কথিত প্রেমিক কামরুল। পরে লাশকে কোট-প্যান্ট, জুতা পরিয়ে আলমারিতে লুকিয়ে রেখে পরদিন সকালে তাজহাটে কামরুলের বড় ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির মেঝেতে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে চাপা দিয়ে রাখেন কামরুল।
পহেলা এপ্রিল বাবু সোনা নিখোঁজ বা অপহৃত হয়েছে বলে রংপুর কোতয়ালী থানায় তার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। নিখোঁজের পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ, পিবিআই, সিআইডি, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
তদন্তের ৫ দিনের মাথায় বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক ও তার প্রেমিক কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাবু সোনার লাশ তাজহাটের ওই নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিলো।