কৈশোরেরে চপলতায় নয়
তারুণ্যের অধীরতায় নয়
নারীত্বের পূর্ণতায় দেখেছি জগৎ,
জাগতিক মহাবিশ্ব।
দেখেছি সম্রাজ্যবাদের কালো থাবায়
ক্ষত বিক্ষত বিশ্বের প্রতিটি জনপদ।
পারমানবিক অস্ত্র বিস্ফোরণে
প্রকম্পিত শান্ত সাগর অটল পাহাড়,
দেখেছি হটকারিতায় দ্বিধা বিভক্ত
সহস্র বিভ্রান্ত মানুষ সাধারণ।
অবাক বিস্ময়ে দেখেছি স্বদেশ
রক্তাক্ত ক্যাম্পাস আপোসহীন রাজনীতি
উত্তপ্ত রাজপথ,লাশের মিছিল
সীমাহীন দুর্নীতি,বিপন্ন স্বাধীনতা।
দেখেছি অবৈধ টাকায় কটিপতি হয়
অবাঞ্ছিত কোন নরেণ,
অথবা কালা মিঞার দল
পার পেয়ে উঠে যায় উপরে অনেক।
বাসন্তির কপাল খোলেনি আজও
পায়নি ঘর,জোটানি কাপড়।
অথবা ক্ষুধার তারণায় কঙ্কালসার শিশু
শুকনো স্তনে সেটে থাকে বাদুড়ের মতো।
দেখেছি দুশমন দর্শকের অমিসারে
হাতভর্তি জন্মনিয়ন্ত্রণের শপথ,
শত্রুবাড়ির মেয়ে তাকে
অনায়াসে দেহে মাখে বারংবার।
অবাস্তব ফুলের সমারোহ দেখিয়ে
বর্নিল মিডিয়ায়,
বাতাসে বিজ্ঞাপন নারীরা দুলে দুলে কথা কয়।
কিছুদিন পর তাদের বিদ্রুপ করে উড়ে আসে,
চিল শকুনের ঝাঁক।
ফলাফল হিসেবে,
জেব্রাক্রসিং’এ একটা নবজাতক পড়ে থাকে
আর নিঃস্বার্থভাবে পাহারায় থাকে গড়ম পানিতে ঝলসে যাওয়া কুকুরটা।
দেখেছি কিশোরীর নরম শরীর
খুবলে খায় নরপশু হায়নার দল,
পচাঁ পুকুরে দামের তলায়
পড়ে থাকে চোখ বাঁধা যুবকের লাশ।
দেখেছি সমাজ বদলের খেলায়
মেতে থাকে সামন্তবাদীরা দলে দলে,
মিথ্যা আশ্বাসে মানবতা
কেঁদে ফেরে পশুত্বের দ্বারে।
যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে সভ্যতা
বুকে নিয়ে নিদারুন পরিহাস,
নিয়তির কাছে মাথা নুয়ে টিকে রয়
পাঁচহাজার বছরের জরাজীর্ণ ইতিহাস।
লিখেছেনঃ জলস্পোর্শী তটিনী