মন ভালো রাখার সহজ উপায়

মানুষের মন নানা বিষয়ে, বিভিন্ন কারণে খারাপ হতে পারে। অনেক কারনেই বিষণ্ণতায় ভোগেন থাকেন মানুষ। পারিবারিক সমস্যা, সম্পর্ক জনিত সমস্যা, কাজের বিফলতাসহ নানা কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ বিষণ্ণ হয়ে পড়ছেন। বিষণ্ণতা আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ক্ষতিকর মনে না হলেও বিষণ্ণতা এক ভয়ানক ব্যাধি।যা মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।বিষণ্ণতার সুদূরপ্রসারী ফলাফল মোটেই ভালো নয়। যারা প্রায় সময়ই বিষণ্ণতায় ভোগেন তাদের মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়।তাই বিষণ্ণতাকে অবহেলা নয়।

বিষণ্ণতা দূর করতে সচেষ্ট হতে হবে। নতুবা মাত্রাতিরিক্ত বিষণ্ণতার দরুন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে মনের অজান্তেই। আপনি যদি কোনো কারণে নিজেকে কিংবা কোনো আপনজনকে  বিষণ্ণ দেখতে পান তবে তা অবহেলা না করে দূর করার কাজে নেমে পড়ুন। এতে করে আপনি মারাত্মক কোনো অঘটন থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আসুন, জেনে নেয়া যাক মন খারাপকে ভালো করতে প্রতিদিন যে কাজগুলো করতে পারেন আপনি। নিয়মিত কাজগুলো করুন, আর দেখবেন আস্তে আস্তে বিষণ্ণতা পালিয়েছে অনেক অনেক দূরে।
প্রতিদিনের একটি রুটিন তৈরি করুন :
বিষণ্ণতায় ভোগলে জীবনের মূল্যবোধ থেকে দূরে সে আসা হয়। কোনো রুটিন থাকে না। তাই সর্বপ্রথম একটি রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন। রুটিন মেনে চলা আপনাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারবে এবং বিষণ্ণতা থেকে দূরে রাখতে পারবে।

নিজে নিজে লক্ষ্য স্থির করুন :
আপনি যদি দিনের অনেকটা সময় বিষণ্ণ হয়ে ঘরের কোণে কাটান তবে আপনার অবশ্যই নিজেকে এর থেকে বের করার জন্য কাজ করতে হবে। নিজে নিজে একটি লক্ষ্য স্থির করে নিন। আপনাকে নতুন কিছু করতে হবে এই লক্ষ্য মেনে কাজ করলে বিষণ্ণতা ভুলে থাকতে পারবেন। এবং কিছুদিনের মধ্যেই বিষণ্ণতার বিষ দূর হবে আপনার মন থেকে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন :
গবেষকদের মতে, শারীরিক ব্যায়াম আমাদের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামক হরমোনের নিঃসরণ ঘটায় ,যা আমাদের ভাললাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে এই হরমোনের উৎপাদন আপনাকে রাখবে বিষণ্ণতা মুক্ত। যদি ব্যায়াম করতে না পারেন তবে হেঁটে আসুন খানিক ক্ষন। ভালো লাগবে।

পরিমিত ঘুমান :
যারা বিষণ্ণতায় ভোগে থাকেন তাদের বেশিরভাগেরই রয়েছে অনিদ্রা জনিত সমস্যা। রাতে ঘুম না হলে বিষণ্ণতা আরও চেপে বসে মাথায়। তাই প্রথমে অনিদ্রা দূর করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম করে ঘুম আনতে হবে চোখে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খেতে পারেন।

ইচ্ছে করে কাজের দায়িত্ব নিন :
বাসাবাড়িতে কিংবা কর্মক্ষেত্রে আপনাকে কাজ না দিলেও নিজে থেকে ইচ্ছে করে কাজের দায়িত্ব নিন। এর কারণ হলো আপনি যতক্ষণ কাজে ব্যস্ত  থাকবেন ততক্ষণ আপনার মধ্যে কোনো ধরণের বিষণ্ণতা ভর করবে না। এভাবে নিয়মিত কাজ করলে আপনার বিষণ্ণতা দূরে পালাবে।

নিজের নেতিবাচক চিন্তাকে নিজেই চ্যালেঞ্জ করুন :
আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, আমি পারবো না, আমাকে কেউ ভালবাসে না ইত্যাদি নেতিবাচক চিন্তা বিষণ্ণতা ডেকেই আনে না, বিষণ্ণতা বাড়ায়ও। তাই এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তাকে ঝেড়ে ফেলতে নিজেকেই নিজে চ্যালেঞ্জ করুন। চ্যালেঞ্জ জিতে নিজেকে ভুল প্রমানের মাঝেও আনন্দ খুঁজে পাবেন। দূর হবে বিষণ্ণতা।
আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। অন্যরা পারলে আমিও অবশ্যই পারবো এই মনোবল সৃষ্টি করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *