শুধু স্বাধীনতার লাল সূর্য্য ছিনিয়ে এনেই থামেননি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুরু হয় তার আরেক যুদ্ধ, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন ও সাড়ে সাত কোটি বাঙালির ভাগ্যোন্নয়ন। সদ্য স্বাধীন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে আনার চেষ্টায়ও এগিয়ে যান অনেকদূর।
অমর কাব্যের এই আহবানে সাড়া দিয়ে একাত্তরে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি জাতি। তার নেতৃত্বেই নয় মাসের যুদ্ধে নিশ্চিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ফিরে আসেন দেশের মাটিতে। হাত দেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন কাজে।
১৯৭৩ থেকে ৭৫ পর্যন্ত একান্ত সচিবের দায়িত্বে থাকা ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন খুব কাছ থেকে দেখেছেন বঙ্গবন্ধুর সেই অন্তহীন চেষ্টা । জানান, বঙ্গবন্ধুর ধ্যান-জ্ঞানই ছিলো দেশের উন্নয়ন। আর শ্রমিক-কৃষকের ভাগ্য বদলের চিন্তা।
বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে ছিল ঐতিহ্যের সাথে আভিজাত্যের রসায়ন। এমনটাই বিশ্লেষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি নিমোর্হ ভালোবাসার সাক্ষর জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিটি পদক্ষেপেই। সেখানেই বিশ্বাসঘাতকতার বুলেট। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর বুক ঝাজরা করে দেয় তারই হাতে গড়া সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য।