আশিক মুন্না | অবাস্তব হলেও সত্যি। আগুন লাগার পিছনে যেমন মানুষ দায়ী, তেমনি প্রকৃতিও বিশেষভাবে দায়ী। যার বাস্তব উদাহরণ খানসামা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বয়েজউদ্দীন পাড়ার বর্তমান অবস্থা।
গত চার দিন ধরে চলা অবাস্তব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে এই গ্রামে। এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সমস্ত উপজেলা জুরে চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সার্বিক পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় যে এ পর্যন্ত এই ধরনের ঘটনায় প্রায় ১০ টি পরিবারর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার মানুষজন উৎকন্ঠা প্রকাশ করে জানান, কোন কারন ছাড়াই এখানে আগুন লাগছে। সকাল দশটা থেকে শুরু করে সন্ধ্যার মধ্যেই এমন হয়।
নিজ বাড়িতে আগুন লেগেছে বয়েজউদ্দিন পাড়ায় থাকা আবু সিদ্দিক জানান, রাত হলে না হয় বলা যেতো মানুষ লাগিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু দিনে দুপুরে তাপ বারার সাথে হঠাৎ করেই আগুন জ্বলে উঠে ঘরের চালে। ৭ তারিখ দুপুর দুইটা থেকে এমন শুরু হয়েছে। প্রথমে আমরা অন্য কিছু ভেবেছিলাম। কিন্তু পর পর তিন দিন এমন হওয়ায় আমরা ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়েছি এটা অন্য কোন কারনে হচ্ছে। কারন আমাদের চোখের সামনেই দপ করে আগুন জ্বলে উঠতে দেখেছি অথচ ওখানে কেও ছিলো না। নিজের বাড়িতে লাগা আগুন সামাল দিতে সিদ্দিক তার হাত দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং সফল হন। কিন্তু এ আগুন নেভাতে গেলে তার বাম হাতের তালুর অনেকটা অংশ পুরে যায়।
সাংবাদিকদের মারফত এমন ঘটনার কথা শুনে সেখানে তৎক্ষনাত চলে যান খানসামা উপজেলার নবনিযুক্ত নির্বাহী অফিসার ও ১নং আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বয়েজউদ্দিন পাড়ার এই আতঙ্কিত ঘটনা সম্পর্কে বীরগঞ্জ নিউজ ২৪ এর মুখোমুখি এক প্রশ্নের জবাবে নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আহমেদ মাহবুন জানান যে, এই ঘটনার কথা শুনে তিনিও কনফিউসড। তিনি এবিষয়ে আগুন বিষয়ক উর্ধতন প্রতিষ্ঠান ও মৃত্তিকা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে কথা হয় ১ নং আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.স.ম আতাউর রহমান বাচ্চুর সাথে। তিনি বলেন, নীলফামারী ফায়ার ব্রিগেড ও দিনাজপুর ফায়ার ব্রিগেডকে জানালে তারাও এবিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়।
তবে আজ দুপুর থেকে বয়েজউদ্দীন পাড়ার এই ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন করার জন্য ফায়ার সার্ভিসেরর কয়েকটি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। ঘটনার এক দিন পরে ডিভি সদস্যরা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।