আজ ১৫ নভেম্বর। ভয়াবহ সাইক্লোন সিডরের দশ বছরেও সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনার উপকূলবাসী।স্বাভাবিক হয়নি সিডর বিধ্বস্ত উপকূলবাসীর জীবনযাত্রা।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরে সাইক্লোন সিডরে লন্ডভন্ড হয় বাংলাদেশের বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল। এতে সরকারি হিসাবে তিন হাজার ৪০৬ জন মানুষ নিহত হয়। সেখানকার জীবন-জীবিকা, পরিবেশ-প্রতিবেশ, অর্থনীতি, সামাজিক ও প্রাকৃতিক সুরক্ষাকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছিলো সিডর। দশ বছরেও স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে পারেনি সেখানকার জীবনযাত্রা।
কমছে কাজের সুযোগ, হারিয়ে যাচ্ছে খাবারের উৎস। প্রায় ২৫০ হেক্টর বনাঞ্চল বিলীন হলেও অর্ধেক পরিমাণ নতুন বন তৈরি করতে পারেনি বনবিভাগ। সিডরের পর বরগুনা, কুয়াকাটাসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যে ত্রাণ গিয়েছিলো তার অধিকাংশই জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাতে গেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।
এখনো অনেক এলাকার বাঁধ পুন:নির্মাণ করা হয়নি। নির্মিত হয়নি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাগেরহাটের শরণখোলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ এক বছর আগে শুরু হলেও মাত্র ৩০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।