আবারো ব্যয়বহুল কুইক রেন্টাল বা ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দিকেই ঝুঁকছে সরকার। কয়লাভিত্তিক বড় বড় প্রকল্পগুলো উৎপাদনে আসতে দেরি হওয়ায় কুইক রেন্টালে যেতে হচ্ছে বলে মত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রীর। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিদ্যুৎ সঙ্কট সামলাতে গিয়ে ব্যয়বহুল এ পথে হেঁটে সরকার ঝুঁকিতেও পড়তে পারে।
কয়লাকে প্রধান জ্বালানি ধরে ২০১০ সালে বিদ্যুৎ খাতের মাস্টারপ্ল্যান নেয় সরকার। বলা হয়েছিলো, ২০১৭ সালে ৫৫ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে গ্যাস থেকে। কয়লা থেকে আসবে ২৪ শতাংশ। আর তেল থেকে আসবে ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ।
অথচ বর্তমানে গ্যাসে উৎপাদন ৬২ শতাংশ, তেলের ব্যবহার প্রায় ৩০ শতাংশ। মাত্র ২ শতাংশ নিয়ে কয়লা পড়ে আছে ময়লার মতোই। তাই আগাম সতর্কতায় নতুন করে ১০টি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবে, তেলভিত্তিক উৎপাদনে বিদ্যুতের দীর্ঘমেয়াদে সমাধান দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। বরং সঙ্কট আরো বাড়তে পারে। সেইসাথে রয়েছে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা। এমনকি সঙ্কট সমাধান ও সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে তেল কেন্দ্র নয় পাইপলাইনে থাকা বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।