স্পোর্টস ডেস্কঃ
সম্প্রতি ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ বাতিল করেছে আর্জেন্টিনা। তীব্র সমালোচনা, নিরাপত্তা শঙ্কা ও ফিলিস্তিনের ঘোর আপত্তির মুখে মূলত এই ম্যাচ প্রত্যাহার করলেও নাখোশ ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির ফুটবল ফেডারেশন। আর তাই রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনায় বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
এতে জোরালো সমর্থন আছে ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী এক কোম্পানির। তাদের মতে, এবারের আসর থেকে আর্জেন্টিনাকে নিষিদ্ধ করা উচিত ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার (ফিফা)। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এতে করে ধর্মীয় বৈষম্য ফুটে উঠেছে। বিশ্বজুড়ে ধর্ম নিয়ে একে অপরের মধ্যে যে অন্তঃকোন্দল তা আরো উসকে দিয়েছে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা!
টেডি স্টেডিয়ামে গড়ানোর কথা ছিল আর্জেন্টিনা-ইসরাইল প্রীতি ম্যাচ। কথিত আছে- সেটি নিরীহ, নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের গুপ্তহত্যায় ব্যবহৃত হতো। এখানে নির্বিচারে তাদের হত্যা করে ইসরাইল। ঐতিহাসিকভাবে স্টেডিয়াম ও সংলগ্ন এলাকা ফিলিস্তিনিদের দখলে থাকলেও জোরজুলুম করে তাদের বিতাড়িত করে বর্তমানে সেই অঞ্চল দখল করে রেখেছে দেশটি। স্বাভাবিকভাবে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল ফিলিস্তিন। এমন বিতর্কিত মাঠে ইসরাইলের সঙ্গে আর্জেন্টিনাকে না খেলার জন্য অসংখ্যবার অনুরোধ করে স্বাধীনতাকামী দেশটি। খেললে মেসির জার্সি-ছবি পোড়ানোর হুমকি দেন ফিলিস্তিনিরা। অবশেষে হুমকি-ধমকির মুখে সহিংসতা বৃদ্ধির আশংকায় ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।
ইসরাইলি ফুটবল সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট রোতেম কামের বলেন, ফিলিস্তিনিরা একদম সীমারেখা অতিক্রম করে যাচ্ছে, তা হতে দেয়া যায় না। ফুটবল-সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচটি বাতিল করতে বাধ্য করেছে তারা। ফিফার কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
ইহুদি রাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগদর লেইবারম্যান বলেন, ইসরাইল বিদ্বেষীদের চাপের মুখে ম্যাচ বাতিল বড়ই হতাশার। এতে বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়নি আর্জেন্টিনা। তারা আমাদের মৌল ভিত্তিতে আঘাত হেনেছে। আমাদের জন্য ধ্বংসাত্মতক বার্তা বয়ে এনেছে। আমরা তাদের সঙ্গে নেই।
কমেন্টস