উত্তরের জেলাগুলোতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ জনজীবনে কষ্টের সীমা নেই

মাঘের শেষে শীত জেঁকে বসছে দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় প্রতিবছর এখানে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হিমেল ঠান্ডা বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। টানা কয়েকদিন ধরে ধীরে ধীরে কমছে রাতের তাপমাত্রা। প্রতিনিয়তই হচ্ছে তাপমাত্রার ছন্দপতন।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। এর আগে রোববার এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই।শীতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের ভোগান্তি একটু বেশি। যে যার সাধ্যমতো গরম কাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হচ্ছে নিজ গন্তব্যে।

অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা থাকছে। ভোরে কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, বিপর্যস্ত নীলফামারীর জনজীবন
এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন কালবেলাকে বলেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *