সানজিদা ইয়াসমিন লিথি | পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকার মধ্য দিয়েই একজন মানুষ সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। আর এ সৌন্দর্যের কথা বলতে গেলেই চুল,ত্বক,পোশাক আশাকের কথা চলে আসে। তাই সব ঋতুতেই আমাদেরকে আবহাওয়া ও ত্বক অনুযায়ী যত্নবান হতে হবে। শীতকালে মেয়েদের ত্বকের সৌন্দর্য ও সচেতন থাকার উদ্দেশ্যে কিছু কথা……
ত্বক:
(১) শীতে গ্লিসারিন যুক্ত সাবান, ক্লেনজিং ওয়াইপাস ও তেলসমৃদ্ধ ক্লেনজার ব্যবহার করতে হবে।
(২) ত্বক তৈলাক্ত হলে হালকা ময়েশ্চারাইজার আছে এমন ক্লেনজার ব্যবহার করা উচিত।
(৩) বাইরে বের হওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ লোশন বা ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে ব্যাগে এসব রাখুন। স্টিকি ফাউন্ডেশন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
(৪) যারা লিপস্টিক ব্যবহার করেন তারা শীতকালে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এতে ঠোঁট আরো দ্রুত ফেটে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ম্যাটিন বা ফ্রস্টেড লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া লিপবাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন।
(৫) বাইরে থেকে বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার পাশাপাশি হাত-পা পরিষ্কার করতে হালকা গরম পানিতে লবণ ও শ্যাম্পু মিশানো পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। পায়ের গোড়ালি ভালোভাবে ঝামা দিয়ে ঘষুন ও ময়েশ্চারাইজার যুক্ত লোশন বা গ্লিসারিন লাগিয়ে রাখুন।
(৭) প্রতিদিন বা একদিন অন্তর অন্তর প্রয়োজন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুল ধৌত করুন এবং সপ্তাহে একদিন তেল দিয়ে মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও পাকা কলা,টকদই চুলের জন্য বেশ উপকারী।
এছাড়াও সবারই উচিত শীতকালে খাবারে একটু বাড়তি নজর দেয়া।
খাবার:
(১) শীতকালে গরমপানীয় যেমন চা,কফি বা সন্ধ্যায় সুপ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো।
(২) শীতকালে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। ভাত,আটার রুটি,ডাল,চিনি এসব কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। এসব শরীরের থাইরয়েড ও এড্রেনালি গ্রন্থি গুলোতে পৌঁছে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
(৩) খাবারে চর্বি,ঘি,সরিষার তেল, অলিভওয়েল ব্যবহার করুন।
(৪) রোগ প্রতিরোধে সহায়ক এমন সব খাবার যেমন মধু,গাজর,রসুন,আদা ও টাটকা শাকসবজি ও পানি খেতে হবে।