মো. অাশিক মুন্না | গলায় ফাঁশি দিয়ে গতকাল ১৩ ডিসেম্বর ভোরবেলা খানসামার বিষ্ণপুর গ্রামের দাসপাড়ায় নরেশ চন্দ্র রায়(৫০) নামে এক ব্যক্তি অাত্মহত্যা করেছেন।
আত্নহননকারী পেশায় একজন জেলে ছিলেন। তার পরিবারে ২ ছেলে ১ মেয়ে।যারা উভয়েই বিবাহিত। প্রতিদিন নদী বা অন্যান্য জায়গা থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা চলতো তার। নুন অানতে পান্তা ফুরানোর মতো সাংসারিক অবস্থা তার।
এর কারনেই তার পরিবারে সবসময় অভাব লেগেই থাকতো। তাই তার পরিবারের ভরন পোষনের জন্য এলাকার কিছু লোকের কাছে সুদ হিসেবে টাকা ধার নিয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এনজিও গুলো থেকেও বিভিন্ন প্রকার ঋণ নিয়েছিল।
আত্নহত্যার কারন জানতে চাইলে তার স্ত্রী এপতি দাস জানায় যে, অভাবের সংসারে এত ঋণ করায় তা পরিশোধ করতে খুব অসুবিধার মুখে পরতো হতো তাকে। এছাড়াও এনজিও থেকে যে টাকা তারা নিয়েছিল তা দিতে না পারায় বিভিন্ন এনজিও এর কর্মীদের কাছ থেকে নানা খারাপ কথা শুনতে হতো তাকে। যার ফলে নরেশ চন্দ্র রায় এরকম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানান তিনি।
নরেশ চন্দ্রের এই আত্মহত্যা নিয়ে থানায় কোন মামলা করা হয়েছে কিনা তা জানার জন্য থানায় যোগাযোগ করা হলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান যে, বর্তমানে থানায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।
গতকালে তারা নরেশ চন্দ্রের লাশ পোস্টমর্টেমে পাঠিয়েছে। এর রিপোর্ট থানায় অাসলে তারা বলতে পারবে যে এই আত্মহত্যার মুল কারন এবং সেই রিপোর্ট অনুযায়ী তখন তারা কাজ করতে সক্ষম হবে।