খানসামায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজ-কার্লভাটের অভাব পূরণ করছে বিলুপ্ত প্রায় বাঁশের সাঁকো

আশিক মুন্না | “বাশের সাঁকো”, নদী প্রধান বাংলাদেশের পরিচিত নাম।একটা সময় ছিলো যখন দেশের সব অঞ্চলেই ছোট ছোট নদী বা খালগুলো পারাপারের জন্যে বাশের সাঁকোই ছিলো এক মাত্র ভরসা।যেসব জলাশয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার সম্ভব হয় না সেখানেই মূলত সাকো ব্যাবহার করা হয়।সময়ের আবর্তনে ইট পাথরের ছোয়ায় নানা কার্লভাট ও ছোট ছোট সেতুর কারনে বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছিলো গ্রামীন পরিবেশে এই বাশের সাকো।

দিনাজপুর জেলার খানসামাতেও বিলুপ্তির পথে ছিলো এই সাঁকো। বিগত ১০-১২ বছর অাগে থেকে যোগাযোগের মান উন্নত হওয়ায় এই সাঁকো বাদ দিয়ে প্রযুক্তি গত ভাবে সেতুর ব্যবহার শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি কয়েক মাস থেকে খানসামার ছোট বড় প্রায় এখন সব নদীতেই এই সাঁকো দেখা যাচ্ছে।এর মূল কারন বিগত কয়েক দিন অাগের ঘটে যাওয়া বন্যা।বিগত বন্যায় শুধুমাত্র খানসামার বিদ্যুৎ লাইন,স্কুল,কলেজ,মাদরাসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গুলোতে বিভিন্ন রকমের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।যার পরিমান অার্থিকভাবে বিবেচনা করলে এসে দাড়াবে প্রায় ১০ কোটি টাকার মতো।(তথ্য সুত্র-উপজেলা প্রশাসন।)

এছাড়া ছোট বড় প্রায় অসংখ্য সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়।যার ফলে বিভিন্ন এলাকার মানুষদের মধ্যে যাতায়াত সমস্যা দেখা যায় প্রকট ভাবে । তাই সেসকল এলাকার মানুষদের কথা চিন্তা করে নিজ নিজ এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় এলাকার বিভিন্ন মানুষ মাঠ ভিত্তিক কাজ শুরু করে দেন।তারা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সাঁকো নির্মানের কাজ করেন।এক কথায় বলতে গেলে সেসকল মানুষদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে খানসামার মানুষ বিভিন্ন রকম ছোট বড় সাঁকো দেখতে পাচ্ছে।

সেরকমই একটি সাঁকো রয়েছে ১নং অালোকঝারীর জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের ভুল্লি নদীর উপরে । ১নং অালোকঝারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় এলাকার মানুষজন মিলে এর উপরে একটি সাঁকো নির্মান করে। যেটি অনেক বড় এবং দৃষ্টি নন্দন।এমন আরোও অনেক ছোট বড় সাকো চোখে পরে এখন খানসামার বিভিন্ন খাল বা জলাশয়ের উপর। অনেকেই মনে করছেন এইসব বিলুপ্ত প্রায় যোগাযোগ ব্যাবস্থা আমাদের অতিতের কথা মনে করিয়ে দেয়।যদিও সমস্যা সমাধানে এইটা খুব ক্ষণস্থায়ী সমাধান তথাপি এটা খুব কার্যকারী সমাধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *