আশিক মুন্না | আজ ১৬ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঁধভাঙা আনন্দের দিন। বাঙালি জাতির জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জনের দিনটি আজ। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার
স্বপ্ন পূরণের দিন। পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, নিপীড়ন আর দুঃশাসনের জাল ভেদ করে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিজয়ের প্রভাতী সূর্যের আলোয় ঝিকমিক করে উঠেছিল বাংলাদেশের
শিশির ভেজা মাটি। অবসান হয়েছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সাড়ে তেইশ বছরের নির্বিচার শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কালো অধ্যায়।
এরই প্রেক্ষাপটে অাজ সকালে ০৭ টা থেকে খানসামায় উপজেলা প্রশাসন এর সহযোগিতায় বিজয় দিবস পালন করা হলো।দিনের শুরুতে সকাল ০৭টায় উপজেলা শহিদ মিনারে ১৯৭১ সালের শহিদদের স্মরনে পুষ্পার্পন করে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব অাবুল হাসান মাহমুদ অালী।এরপর খানসামার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুলও বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা পুষ্পার্পন করেন।
সকাল ০৯ টায় খানসামা পাইলট মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে কুচকাওয়াজ প্রদর্শনির অায়োজন করা হয়েছিল। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোঃ সহিদুজ্জামান শাহ্। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ সোলেমান অালী(ভারপ্রাপ্ত)।
এছাড়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ও খানসামা উপজেলার সাবেক ইউএনও জনাব মোঃ সাজেবুর রহমান, অাব্দুল মতিন প্রধান খানসামা থানা,বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব মোঃ মোখলেছুর রহমান সহ অারো অনেকে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা প্রান দিয়েছিল তাদের স্মরনে ভাষন রাখেন অতিথিবৃন্দরা। তারপর শান্তির প্রতিক বেলুন ও। পায়রা উরিয়ে বিজয় দিবসের সকল কার্যক্রমেরর সুচনা করা হয়।
কুচকাওয়াজ প্রদর্শনির পর বিজয়ীদেরর মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। এরপর সকাল ১১টায় মহিলাদের বালিশ খেলা ও বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে খেলাধুলার অায়োজন করা হয় এবং পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে দিনটির সমাপ্তি ঘটে।
ছবি কার্টেসি- তাইফুর রহমান