মোঃ আশিক মুন্না | অাজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ স্বরণে খানসামা ইয়ুথ ফোরাম স্বরণ সভা করেছেন। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন লিটন ইসলাম এবং অাহ্বায়ক ছিলেন অাশিক মুন্না। এছাড়া স্বরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন খানসামা ইয়ুথ ফোরামের সদস্য বৃন্দ সহ শুশীল প্রতিনিধিগন, সভা শুরু হয় সকাল ১০ টায় সদস্যদের বক্তব্য প্রদান এবং মুজিবীয় কর্মসূচী প্রনয়ন এর পর দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সভা সমাপ্ত হয়।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে যা বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হিসেবে পরিচিত, সেখানে অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান একটি ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
১৮ মিনিট স্থায়ী এই ভাষণে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। এই ভাষণের একটি লিখিত ভাষ্য পরবর্তীতে বিতরণ করা হয়। যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ কর্তৃক কিছু পরিমার্জিত হয়েছিল।
পরিমার্জনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবীটির উপর গুরুত্ব আরোপ করা। মোট ১২টি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়৷ এর ফলে নিউজউইক ম্যাগাজিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠী এই দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হয় না। কেননা ক্ষমতা ধরে রাখাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল পালন করা হয়। তিনি ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এরই পটভূমিতে ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক একত্রিত হয়। পুরো ময়দান পরিণত হয় এক জনসমুদ্রে। এই জনতা এবং সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যেই সেদিন শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদান করেন।
খানসামা ইয়ুথ ফোরাম চিরজীবী হোক।