গত রাতের অভিযানে দশ জেলায় নিহত ১২

বীরগঞ্জ নিউজ ১৪ ডেস্কঃ

পরিচালিত হচ্ছে দেশজুড়ে ধারাবাহিক মাদকবিরোধী অভিযান। প্রতি দিনের মতো গত মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলা অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এবং ‘নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে’ আরও ১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাসহ কুমিল্লা, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ, পিরোজপুর ও পাবনা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাতজন, নাটোরে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন এবং সাতক্ষীরা, মুন্সীগঞ্জ ও ঝিনাইদহে ‘নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে’ চারজন নিহত হয়।

কুমিল্লা: দেবিদ্বার ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় রোববার পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন— দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী এলাকার প্রয়াত আবদুল্লাহ ভুইয়া ওরফে বাবুল মিয়ার ছেলে এনামুল হক দোলন এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার কালিকাপুর এলাকার প্রয়াত আবদুল ওহাবের ছেলে নুরু মিয়া।

পুলিশ বলছে, নিহত দু’জনেই মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, উপজেলার ভিংলাবাড়ি বেরিবাঁধে রাত ১টার দিকে মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর সময় দোলন ও তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী এনামুল হক দোলন গুরুতর আহত হয়। উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে ১০ কেজি গাঁজা, ১০০ পিস ইয়াবা, একটি পাইপগান ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, দোলনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি মাদক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছে।

এদিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, গলিয়ারা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালানোর সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় মাদক ব্যবসায়ী নুরু মিয়া ও তার সহযোগীরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে নুরু গুরুতর আহত হয়। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে ৪০ কেজি গাঁজা, পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নুরুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে।

সাতক্ষীরা: সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের বাঁকাল-আগুনপুর এলাকায় রোববার রাতে ‘নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে’ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন— সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে খলিলুর রহমান পুটি (৩৫) ও জেলা শহরের মধুমোল্লারডাঙ্গী গ্রামের প্রয়াত ইয়াদ আলী মিস্ত্রির ছেলে ইমদাদুল হক (৪৫)।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রবীর কুমার দাস জানান, আলীপুর ইউনিয়নের বাঁকাল-আগুনপুর এলাকায় দু’টি লাশ পড়ে আছে বলে সোমবার ভোরে থানায় খবর আসে। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ দু’টি উদ্ধার করে।

তিনি জানান, নিহত দু’জনের দেহেই একটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি, এক বোতল মদ ও ১০৫ বোতল ফেনসিডিলও পাওয়া যায়।

এসআই প্রবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে দু’জন নিহত হয়।

মুন্সীগঞ্জ: সদর উপজেলায় রোববার রাত দেড়টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের দু’টি গ্রুপের মধ্যে ‘গোলাগুলিতে’ সুমন বিশ্বাস ওরফে কানা সুমন (৩৩) নামে একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মো. সালাউদ্দিন জানান, রোববার মধ্যরাতে উপজেলার মিরকাদিম এলাকায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের দু’টি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সুমন বিশ্বাস ওরফে কানা সুমন।

তিনি জানান, লাশ উদ্ধারের ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নাটোর: সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের ভাগনগরকান্দি এলাকায় রোববার রাতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আব্দুল খালেক নামে একজন নিহত হয়েছে।

নিহত খালেক উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের বড় চৌগ্রাম এলাকার আজাহার আলীর ছেলে।

র‌্যাব বলছে, খালেক একজন মাদক ব্যবসায়ী।

র‌্যাব-৫ (সিপিসি-২) নাটোর ক্যাম্পের মেজর সিবলী মোস্তফা জানান, রাত দেড়টার দিকে র‌্যাবের একটি দল উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের ভাগনাগরকান্দি এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে সেখানে অবস্থানরত মাদক ব্যবসায়ীদের একটি দল র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় র্যা বও পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়। উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে মাদক, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছে।

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর): ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি ব্রিজ এলাকায় রোববার গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবু সাঈদ বাদশা ওরফে লাল বাদশা নামে একজন নিহত হয়েছে।

নিহত বাদশা উপজেলার গোবিন্দপুরের আ. রশিদ ছৈয়ালের ছেলে।

পুলিশ বলছে, বাদশা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের সহযোগী ছিলেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, রোববার রাতে বাদশাকে আটক করা হয়। পরে তাকে নিয়ে মাদক উদ্ধারের জন্য গুপ্টি ব্রিজ এলাকায় গেলে বাদশার সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায় ও গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে বাদশা গুলিবিদ্ধ হয়। পরে বাদশাকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, তিনটি ককটেল, চার রাউন্ড গুলি ও ১১১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, বাদশার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টি মাদকের মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের ৬ সদস্য আহত হয়েছে।

পিরোজপুর: সদর ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনায় অহিদুজ্জামান অহিদ মো. মিজান নামে দু’জন নিহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন— নেছারাবাদ উপজেলার দক্ষিণ কৌড়িখারা সোহাগদল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান খানের ছেলে অহিদুজ্জামান অহিদ ও মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মিজান।

পুলিশ বলছে, নিহত দু’জনেই মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার দুপুরে কৃষ্ণনগর এলাকা থেকে অহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে নিয়ে মাদক উদ্ধারে কলাখালী ইউনিয়নের কৌবত্তখালী গ্রামে যায় পুলিশের একটি দল। সেখানে অহিদের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে অহিদ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, দু’টি দা, পাঁচ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ ও ১৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অহিদের বিরুদ্ধে অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়।

এদিকে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, রাতে উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নে মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মিজান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়।

ঘটনাস্থল থেকে দেড় কেজি গাঁজা ও ৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, মিজানের বিরুদ্ধে মাদকের একাধিক মামলা ছিল। এ ঘটনায় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে।

পাবনা: বেড়া উপজেলার তেঘরী মহল্লায় রোববার রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছে।

নিহত ইজ্জত আলী প্রামাণিক (২৭) উপজেলার হাটুরিয়া পূর্বপাড়ার প্রয়াত আজাহার আলী প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ বলছে, ইজ্জত আলী কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, খুনি, চাঁদাবাজ, ডাকাত, অপহরণকারী ও মাদক সম্রাট হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সে হাটুরিয়া, নাকালিয়া, কৈটোলা ও নতুন ভারেঙ্গা এলাকায় একটি ডাকাত দল এবং সন্ত্রাসী দল গড়ে তুলেছে। এ ছাড়াও সে তার বাহিনী দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, অস্ত্র ও মারামারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে।

পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, রাত ১টার দিকে পৌর এলাকার তেঘরী মহল্লায় টহল দেওয়ার সময় পুলিশের একটি দল দেখতে পায়— একদল ডাকাত রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোড়ে ও ককটেল ফাটায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে ইজ্জত আলীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি শাটারগান, চার রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে।

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকায় সোমবার ভোররাতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছে।

পুলিশ নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি। তবে স্থানীয়রা বলছে, নিহত ব্যক্তি রূপনগরের চলন্তিকা বস্তির শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবির উপ কমিশনার মো. মোখলেছুর রহমান জানান, রূপনগরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ভবনে মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছে— এমন খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভোররাত ৩টার দিকে সেখানে অভিযানে যায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল ও পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ: সদর উপজেলার জারগ্রামে রোববার রাতে ‘নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে’ শীর্ষ এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত ফরিদ (২৫) ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই এলাকার মোহম্মদ আলীর ছেলে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, রাত সোয়া ১টার দিকে জারগ্রামে গোলাগুলির শব্দ শুনে টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে।

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, ৫০০ গ্রাম গাঁজা , ২০ বোতল ফেন্সিডিল ও ছয় জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।

মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগির নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে এমন ধারণা করা জানিয়ে ওসি বলেন, নিহত ফরিদের বিরুদ্ধে ১০টি মাদক মামলাসহ অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *