নিজস্ব প্রতিবেদক
কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিনাজপুর। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। সূর্যের দেখা মিললেও শীতের দাপটে কাঁপছে পুরো জেলা। কনকনে শীত, হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে এ জেলায়। প্রতিনিয়তই হচ্ছে তাপমাত্রার ছন্দপতন। একদিন তাপমাত্রা বাড়ে তো আরেক দিন কমে। কোনো দিন রোদ তো কোনো দিন ঘন কুয়াশা। টানা কয়েকদিন ধরে ক্রমশই কমছে রাতের তাপমাত্রা। বইছে হিম বাতাস। রাতের হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি বিরাজ করছে। কুয়াশার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। এর আগে সোমবার এ জেলায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
সরেজমিনে সকালে ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে তীব্র হিম বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার গুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা বিরাজমান, কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৩% এবং গত ২৪ ঘন্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।