হাবিপ্রবি থেকে জাকির হোসেনঃ
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে হানিফ পরিবহন এর স্টাফ কর্তৃক মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
গত ৮ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার হানিফ পরিবহন এর কোচের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।
বিবিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল মিঞা এর সাথে কথা বলে জানা যায় রংপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে উক্ত বাসে সে রওয়ানা দেয়।গাড়ি চালানো অবস্থায় ঐ বাসের ড্রাইভার একাধিকবার ফোনে কথা বলে এবং কানে হেডফোন লাগিয়ে গাড়ি চালাতে থাকে।
দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকা থেকে সে ড্রাইভার কে হেডফোন ব্যাবহার থেকে বিরত হতে বললে সে উক্ত শিক্ষার্থীর সাথে প্রথমে অকথ্য ভাষায় প্রতিউত্তর করে। আচরণ শুধরে কথা বলতে বলায়,ঐ ড্রাইভার অশ্রাব্য ভাষা ব্যাবহার করে গালাগাল দেয়। এক পর্যায়ে মাঝ পথে নামিয়ে দেয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
ঘটনার একপর্যায়ে রুবেল তার বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা বন্ধুদের ফোন দেয় এবং ড্রাইভার-হেল্পার এর লাঞ্ছনার প্রতিবাদ করতে বলে।
কিন্তু হানিফ পরিবহন এর বাস তাকে না নামিয়ে দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করা সহপাঠি দের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দিতে উদ্যোত হয়। এমন সময় রাস্তায় অবস্থান করা মারুফ,রনি,প্রান্তসহ বেশ কয়েকজন দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে গিয়ে গুরুতর ভাবে আহত হয়।
সেসময় রুবেল কে বাসের ভেতর মারধর করতে করতে তাদের কালীতলাস্থ কাউন্টারে নিয়ে যায় এবং তাকে বিভিন্নভাবে ভিতি প্রদর্শন করা হয়।।
এমন ঘটনার প্রতিবাদে হাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক ভাবে রাস্তা অবরোধ করে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানায়। নির্বাচনী তফসিল এর দিন হওয়ায় উক্ত দিনে তারা আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখে এবং দাবি পূরণের আলটিমেটাম দেয়। ন্যায্য বিচার না পাওয়া রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন চালাতে থাকে।
এ ব্যাপারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মারুফ এর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রশাসন প্রতিবার আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে এবং পরিবহন শ্রমিকরা বারবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেয়ার সাহস পাচ্ছে।একরকম বিচার হীনতার সংস্কৃতিতে ভুগছি আমরা।আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই নতুবা আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
সে আরো জানায় আজকের মত আন্দোলন সাময়িক স্থগিত রয়েছে এবং আগামীকাল সকাল দশটা থেকে পূনরায় রাস্তা অবরোধ ও আমাদের কঠোর আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।