বীরগঞ্জ নিউজ ২৪ ডেস্কঃ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাস নির্মানের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে ভূমি অধিগ্রহণ এবং ভূমির উন্নয়নের জন্য ১৮৬২ কোটি ৯৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
গত ৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে এ উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জানান, ‘১ জুলাই ২০১৮ থেকে এ প্রকল্পের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে। এ দুই বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’ বাস্তবায়নে যে ব্যয় ধরা হয়েছে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ, নিচু জমি ভরাট করা, পুকুর খনন, গাছ লাগানো এবং প্ল্যানিং ও ইঞ্জিনিয়ার সেকশনের জন্য একটি ভবন থাকবে। এছাড়া এ প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অত্যাধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধন ও প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য ক্যাম্পাসে সবুজ গাছপালা এবং লেক থাকবে। পুরো ক্যাম্পাসটি লেক দ্বারা দুটি অংশে বিভক্ত হবে যা ৫টি ব্রিজ দিয়ে সংযুক্ত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘প্রকল্পটির ব্যয় ১৮৬২ কোটি ধরা হলেও তা বেড়ে ২০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
এর আগে, ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ২৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে সাত একর জায়গায় একটি ২০ তলা একাডেমিক ভবন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এক হাজার সিটের আবাসিক ছাত্র হলের জন্য ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ শিরোনামের একটি প্রকল্প উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য নজরুল ইসলাম।
প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেখার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এই ৭ একর, ১০ একর দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার সমাধান হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে হবে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, ক্যাম্পাস, একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরিসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যত জমি লাগবে, যত টাকা লাগবে, তার জোগান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি করে তার কাছে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্দেশের এক বছরের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের এ প্রস্তাবটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।