ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার (৮ মার্চ) সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে ৬৩ নং মাদারগঞ্জ কচুবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। ‘এ সময় সুযোগ বুঝে আমাদের মেয়ের সঙ্গে নরপশুর মতো হিংস্র আচরণ করেছে ওই শিক্ষক। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাকিবুল আলম চয়ন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে একটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি এবং ঘটনার প্রেক্ষিতে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি।
স্থানীয়রা বলেন, ‘ইতোমধ্যে অপরাধীকে বাঁচাতে নানারকম পাঁয়তারা চলছে। গ্রামের প্রভাবশালী রাজনীতিক নেতারা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে ওই ভুক্তভোগী শিশুকে সরকারি হাসপাতালে না পাঠিয়ে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যার। পরে আমরা পরিবারটিকে এখান থেকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমরা চাই অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত আটক করা হোক।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ আছে। আমরা কাউকে কোচিং করানোর অনুমতিও দিইনি। আমি ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তার মুঠোফোন বন্ধ। আমি বিস্তারিত জেনে আমার শিক্ষা অফিসারকে অবগত করব।
ভুল্লি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগে ঘটনাটি শুনেছি। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্ড়ে পরিবারকে এজাহার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *