দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জমি রক্ষায় আইনগত সহযোগিতা চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ১১ ফেব্রুয়ারী উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর গ্রামের জামিল উদ্দিনের পুত্র মোঃ বিপ্লব ইসলাম জমি রক্ষায় আইনগত সহযোগিতা চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার দাদী জমিলা খাতুন ১৯৭৭ সালে প্রানগর মৌজার জেএল নং-৩০, সাবেক ৭৩৯ দাগের ১২৪৩০ নং দলিল মূলে ১.৬৯ একর সম্পত্তি ১৫ এপ্রিল ক্রয় করে ভোগ দখল অবস্থায় এক ছেলে জামিল উদ্দিন ও এক মেয়ে ছালেহা খাতুনকে রেখে মারা যায়। তার পিতা জামিল উদ্দিন ভাগে সাড়ে ৫৩ শতক জমি পায়। দাদা চমির উদ্দিন (মাটিয়া)’র নির্দেশে পিতা জামিল উদ্দিন ৫৩ শতক জমির মধ্যে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের ধারে পাকা রাস্তার পশ্চিমে ও রেকর্ডিয় ছোট রাস্তার উত্তর বরাবরে ২০০৮ সালের ৩ জানুয়ারী ১৬৩ নং হেবা দলিল মুলে ২৫ শতক জমি তাকে ও তার ছোট ভাই আবুল বাশারকে রেজিস্ট্রি করে দেয়।

তার জমির পশ্চিম পাশের তার বাবার আরএস ২৬৩ নং খারিজ খতিয়ানের সাড়ে ২৮ শতক জমি থাকে। যেখানে তারা বসতবাড়ি করে বসবাস করছে। বাবা জামিল উদ্দিনের টাকার প্রয়োজন হলে বিপ্লব ইসলামের জমির পরে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি ৪১৮ নং দলিলে ও ১৯ অক্টোবর ৫০৭১ নং দলিল মুলে ২ কিস্তিতে ৫ শতক জমি মনসুর আলীর স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের নিকট বিক্রয় করে দখল বুঝিয়া দেয়।

তিনি আরো বলেন, আমার জমির পশ্চিমে আমার বাবার সাড়ে ২৩ শতক জমি এখনো অবশিষ্ট রয়েছে। বর্তমান সময়ে জমির বাজারদর বেশি হওয়ার কারণে মুনছুরা বেগমের দেবর বিএনপি’র নেতা মহসিন আলীর হুকুমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে খয়বরের পুত্র মোঃ নুর ইসলাম, আফজাল হোসেনের পুত্র আব্দুর রহিম, সিদ্দিক হোসেন, আরিফ হোসেন ও নুর ইসলামের পুত্র মোঃ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি সকাল ৯ টার দিকে আমাদের বাড়িঘর ঘেরাও করে আমার জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় আমার মা বিলকিস বেগম বাধা দিলে তার উপর হামলা চালিয়ে ও ট্রলি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে আহত করে।

আমার ফুফাতো ভাই নবম শ্রেণীর ছাত্র রফিকুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করে ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আমার মায়ের পা ভেঙ্গে দেয়। আমাদের বাড়ীতে আগুন দিয়ে আমাদেরকে পুড়ে মারার চেষ্টা চালায়। আমাদের লাগানো বাঁশঝাড়সহ গাছপালা ও আবাদী ফসল কেটে তান্ডব চালায়। আমাদের লোহার ঘেড়াবেড়া লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমরা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আমরা ভীত সশস্ত্র হয়ে ৯৯৯ নাইনে ফোন দিলে বীরগঞ্জ থানার এসআই নিহার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাদের উদ্ধার করে। তাৎক্ষণিক আমার মাকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা করাই। থানা পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করলেও আইনগত সহযোগিতা না পেয়ে আমার বাবা জেলা দিনাজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, বীরগঞ্জ এ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন, যার নং সি.আর- ৩৯/২৫। মামলাটি বর্তমানে পিবিআইতে তদন্তধীন রয়েছে।

মামলা করার কারণে ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকিতে বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। ন্যায় বিচার চেয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনের সহযোগিতা ও আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *