দিনাজপুরে হাসকিং মিলগুলোর অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাচ্ছে

দিনাজপুরে অটো রাইস মিলের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দীর্ঘকাল ধরে চাল তৈরী করে আসা হাসকিং মিলগুলোর অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এসব মিল এখন গোডাউন হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। কিছু কিছু হাসকিং মিল ডেইরি-পোল্ট্রি ফার্মে পরিণত হয়েছে। এসব মিলে কর্মরত শ্রমিকরা এখন অন্যত্র শ্রম দিচ্ছেন। তবে মহিলা শ্রমিকদের একটি বড় অংশই বেকার হয়ে পড়েছে।

কয়েক যুগ ধরে হাসকিং মিল ছিল চাল তৈরীর একমাত্র কারখানা। দিনাজপুরে গড়ে উঠে প্রায় ১৭’শ হাসকিং মিল। কিন্তু অটো রাইস মিল আসার পর হাসকিং মিল দু’একটি ছাড়া প্রায় সবগুলোই বন্ধ হয়ে গেছে।

এসব মিলে কর্মরত শত শত শ্রমিক মিল বন্ধের পর কাজ হারিয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করেছে এমন কিছু শ্রমিক মিল মালিকের দয়ায় মিল চত্বরে এখন অন্য কাজে নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে। আর নারী শ্রমিকরা গৃহপরিচারিকার কাজ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।

হাসকিং মিলের সনাতন পদ্ধতিতে উৎপাদিত চালের ভাত মানুষ আর খেতে চায়না। অটো রাইস মিলে ধান ছাটাইয়ে ভাঙ্গা,খুদি ও মরা চাল আলাদা করে ঝকঝকে চাল বাজারজাত করা হয়। যেটা হাসকিং মিলে সম্ভব নয় বলে জানান মিল মালিকরা। প্রযুক্তির যুগে সনাতন পদ্ধতি মার খাবে এটাই বাস্তবতা বলে জানান জেলা চেম্বার সভাপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *