জলস্পর্শী তটিনী
নারী তুমি যাহেলিয়ার যুগে দলে দলে হয়েছিলে অত্যাচারিত,
ত্রেতাযুগে সীতা তুমি রাবণ তোমায় হরণ করেছে কতো,
কলিযুগেও তোমায় তারা করেছে যে শত লাঞ্ছিত।
প্রকাশে আর গোপনে,মসজিদ আর আইন সভার প্রাঙ্গনে,
বারে বারে হয়েছ ধর্ষিত।
আধুনিক যুগের নারীরা হায়!
এদের কথা বর্ননা করা যে ভীষণ দায়।
হোয়াইট হাউজে,ধর্মসভায়,টিএসসিতে রমনায়,
ক্ষত বিক্ষত নারীর দেহ,কাক শকুন আর শিয়ালে খায়।
তবুও বাংলা সাহিত্যে তুমি শক্তিদেবী,
দুর্গা তুমি,চন্ডী তুমি ,প্রীতিলতা,
তুমি তারমন বিবি।
তুমি যে প্রেরনার মূলমন্ত্র,
তোমার মুখের হাসি রক্ষার্থে লক্ষ কোটি
সন্তান তোমার ধরেছিলো শত শত অস্ত্র।
আজ কিসের ভয়ে লুকিয়ে তুমি,
ঘরের কোনে,গৃহের ভেতরে।
সব বাঁধা ভেঙে বেরিয়ে এসো রাজপথে,
দলে দলে অযুতে নিজুতে।
চুরমার করো ভেঙে ফেল চেঙ্গিস খানের থাবা,
আর চুপটি করে থেকোনা হয়ে হাবাগোবা।
তুমি ক্যান্টনমেন্টে মরে পরে থাকা নারী হয়ো না।
এদেশর আজ বিস্ময়কর সাফল্যর পিছনে
তোমারি রয়েছে মুল মন্ত্রনা।
তবুও নারীর প্রতি অবহেলা,অত্যাচার আর এত লাঞ্ছনা,
আরেক নারী হয়ে আমি যে আর সইতে পারছি না।
আজ নতজানু হয়ে নারীজাতির কাছে এটাই আবদার,
লড়াই করেই রক্ষা কর,নারী তোমার প্রাপ্য অধিকার।