পঞ্চগড়ে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাস ও ধোয়ায় অর্ধশতাধিক কৃষকের একশত বিঘার জমির ধান ক্ষেত ঝলসে গেছে । চলতি বছর রোগবালাই আক্রমণ না করায় ফসলের উৎপাদনও ছিল ভাল। আর কয়েকদিনের মধ্যেই বোরো ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন কৃষকরা। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে ইট ভাটার বিষাক্ত গ্যাস।
পঞ্চগড়ের বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের স্থানীয় প্রভাবশালী স্কুল শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। গেলো মৌসুমে ড্রাম দিয়ে তৈরি নিষিদ্ধ চিমনী ভাটা তৈরি করে ফসলী জমিতে টিএসবি ব্রিকস ব্যান্ডের ইট তৈরি শুরু করেন। সেই ইটভাটার আগুনের গ্যাস দিয়েই নষ্ট হচ্ছে আশপাশের বোরো ধানের ক্ষেত। এতে কয়েকজন কৃষককে ক্ষতিপূরণও দেয়া হয়।
চলতি মৌসুমে ইট পোড়ার কাজ শেষ হওয়ায় গভীর রাতে ভাটার দু’টো চিমনীই খুলে মাটিতে ফেলা হয়। এসময় গরম ছাই জমিতে পড়ে প্রায় এক বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে, এ ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থার কথা জানালেন কৃষি কর্মকর্তা। পঞ্চগড়ে ইটভাটার সংখ্যা ৩৭টি। এর মধ্যে ১৮টি ইটভাটারই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই এবং চলতি অর্থ বছরে ২৬টি ইটভাটার নবায়নও করা হয়নি।