পৌষের শেষে এসে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীত জেঁকে বসেছে সারা দেশে। তবে শীতের তীব্রতায় জুবুথুবু উত্তরাঞ্চল। জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত। এদিকে, ঠান্ডাজনিত রোগে কুড়িগ্রামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সারাদেশে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে আরো দুই -তিনদিন। জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কুড়িগ্রামে প্রচন্ড শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হচ্ছে না মানুষজন।
এদিকে, সকালে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে দেড় বছর বয়সের শিশু মীমের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র শীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মেয়েটি ভর্তির আধাঘন্টা পরেই মুত্যুর কোলে ঢলে পরে। অন্যদিকে, ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায়, থমকে দাঁড়িয়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী হিমালয় পর্বত নিকটতম জেলা লালমনিরহাটের জনজীবন। কষ্ট বেড়েছে শীতার্ত দু:স্থ ও চরাঞ্চলের মানুষের।
গবাদি পশুগুলোও কাবু হয়েছে ঠান্ডার প্রকোপে। খড়কুটোর আগুনে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা ছিন্নমূল মানুষের। সরকারীভাবে সাড়ে ত্রিশ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেয়া হলেও, তা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, কুয়াশায় ঢেকে গেছে সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। শৈত্য প্রবাহে নাকাল জনজীবন। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। দিনের বেলাতে সূর্য দেখা গেলেও শীতের তীব্রতা অনেক বেশী। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল আট দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। জেলার দুই লাখ দু:স্থ মানুষকে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে এ পর্যন্ত মাত্র ২৮ হাজার ছয়শ’ ৮৫টি শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে গত পাঁচদিনের প্রচন্ড কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতের প্রকোপ অনেক বেশি। গত কয়েকদিন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট ডিগ্রি থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এমনকি, দিনের অর্ধেক সময়ই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলতে হচ্ছে।