প্রতিপক্ষ ভারত হলেই হচ্ছে ফিক্সিং

স্পোর্টস ডেস্কঃ

ক্রিকেট আবারও ফিক্সিংয়ের কালিমা মাখলো। একটি-দুটি নয়, বেশ কয়েকটি দেশকে নিয়েই এমন ফিক্সিং হয়েছে বলে দাবি করেছে দোহাভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল জাজিরা! সম্প্রতি তদন্তমূলক প্রামাণ্যচিত্রে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে এই চ্যানেল। এতে দাবি করা হয়েছে, পিচ বিকৃত করার মতো ঘটনাও ঘটেছে গত দুই বছরে। সংশ্লিষ্ট এসব টেস্টে ভারতের নামটিও রয়েছে।

গোপন ক্যামেরায় এমন ফিক্সিং কাণ্ডের তথ্য বের করা নতুন নয়। পুরনো এমন ফাঁদই পেতেছিল আল জাজিরা। সাংবাদিক ডেভিড হ্যারিসন সেই প্রামাণ্যচিত্রে দেখিয়েছেন, কীভাবে কিউরেটর পর্যন্ত ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত। নতুন এমন কাণ্ডে যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার হাসান রাজা, ভারতের প্রথম শ্রেণির সাবেক ক্রিকেটার রবিন মরিস ও তিন শ্রীলঙ্কান। এখানে গল স্টেডিয়ামের কিউরেটর থারাঙ্গা ইন্দিকার নামটিও তদন্তে উঠে এসেছে। তিনি স্বীকার করেছেন পিচ বিকৃতির কথা। ২০১৬ সালে তার কারণে অস্ট্রেলিয়া আড়াই দিনেরও কম সময়ে টেস্ট হেরেছিল। একইভাবে গত বছরের জুলাইয়ে হওয়া টেস্টে ভারত সংগ্রহ করেছিল ৬০০ রান। প্রামাণ্যচিত্র বলছে, দুটি টেস্টের সবকিছুই ছিল পূর্ব পরিকল্পিত!

ভারতের সংশ্লিষ্টতা এখানেই শেষ নয়। চেন্নাইয়ে হওয়া ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ও গলে হওয়া ভারত-শ্রীলঙ্কার টেস্টে প্রভাব ছিল বাজিকরদের! ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে হওয়া ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট, ২০১৭ সালের মার্চে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার রাঁচি টেস্ট ও গত জুলাইয়ে গলে হওয়া ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্টে এমন প্রভাব ছিল অন্ধকার জগতের।

‘ক্রিকেট’স ম্যাচ-ফিক্সার্স’ এমন শিরোনামে করা এই তথ্যচিত্রের তদন্তে নির্দিষ্ট করে কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম সামনে আসেনি। সেখানে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার অন্তত দুজন ক্রিকেটার রাঁচি টেস্টের ফিক্সিংয়ে ও চেন্নাই টেস্টে তিনজন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার জড়িত ছিলেন। ইংলিশ ক্রিকেটাররা যদিও এমন অভিযোগ নাকচ করেছেন। এমন ঘটনায় অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। এমন ঘটনায় তদন্তে নামার ঘোষণা দিয়েছে তারা।

গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত প্রামাণ্যচিত্রে আল জাজিরা সাংবাদিক হ্যারিসন ব্যবসায়ী পরিচয়ে সাক্ষাৎ করেন আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ডি কোম্পানির সদস্য অনিল মুনাওয়ারের সঙ্গে। সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *