আমার প্রতীক্ষার বরণডালা সাজিয়ে- তোমার চিরচেনা শহরের শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে থাকবে তুমি,
জিওমেট্রির ক্লাস শেষে ঠিক তিনটা বেজে পঞ্চাশ মিনিটে আসবো আমি।
ভয় পেয়োনা আমার ভালোবাসা নয় কোন বিরধী দলের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল,
কিংবা ফুটপাতে বেড়ে ওঠা নাগরিক জঞ্জাল।
আসতে যখন চেয়েছি তখন আসবই তিনটা বেজে পঞ্চাশ মিনিটে,
তুমি শুধু চেয়ে থেকো ঐ যানযট মাখা রাজপথের দিকে এক দৃষ্টিতে।
আমাকে আটকাতে পারবে না তোমার শহরের নিয়তি পরিণতি যানযট,
কিংবা আটকাতে পারবেনা তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপট।
থামাতে পারবেনা আমায় একতরফা নির্বাচনও,
কথা দিলাম আসবো,মাথার রক্তজবা আর গোটা পাঁচেক কদম,কেয়া হাতে,
পড়নে কৃষ্ণচূড়ার রঙে রাঙানো রক্তিম জামদানি,আর কিছু হলুদ রঙের স্বপ্ন নিয়ে সাথে।
চাঁদের বুড়ির কাছে চরকাটা ধার নিয়ে এসো তুমি,
সেই চরকায় হরেক রঙের স্বপ্ন বুনবো আমি।
হাজার বছর ধরে চোখের কোনে জমে থাকা লাল নীল স্বপ্ন,
যে স্বপ্নগুলো কাল অবধি ছিলো প্রচুর ঘুমে আচ্ছন্ন।
ছাত্রদের কোটা সংস্কারের দাবি আর ধর্ষিতার আত্মচিৎকারকে উপেক্ষা করে গেল মাসে আসতে পারিনি,
তবে শূণ্যের ঘরে স্বপ্ন বসিয়ে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে আজো ভুলিনি।
তাই শূণ্যতার শূণ্যস্থান পূরন করে আমরা দুজন মিলবো আবার এককে
শূণ্যের মন্দির বাড়াবো সংখ্যা,
কথা দিলাম ঠিক তিনটা বেজে পঞ্চাশ মিনিটে তোমার শহরে নতুন করে আবার হবে দেখা।
লিখেছেনঃ জলস্পর্শী তটিনী