বগুড়ায় তরুণী ধর্ষণ এবং মা মেয়েকে লাঞ্ছনার ঘটনায় এজহারভুক্ত ৯ আসামিসহ এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাতে পাবনা থেকে গ্রেফতার করা হয় নির্যাতনকারী নারী কাউন্সিলার মার্জিয়া হাসান রুমকি ও তার মা রুমি বেগমকে।
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রধান আসামি তুফানের স্ত্রী আশা সরকার, জিতু এবং মুন্নাকে। মামলার ১০ আসামির মধ্যে শিমুলকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, আদালতে হাজির করে তাদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এদিকে মামলায় নাম না থাকলেও ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পৌর কাউন্সিলর রুমকির বাবা জামিলুর রহমান রুনুকে আটক করা হয়েছে। এর আগে তুফানসহ চার আসামির সাত দিনের রিমান্ড চাইলে তিনজনের তিন দিনের রিমান্ড দেয় আদালত।
ভালো কলেজে ভর্তি ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এসএসসি পাশ করা এক তরুণীকে ধর্ষণের পর শহর শ্রমিক লীগের আহবায়ক তুফান তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও অন্যান্য সহযোগীদের প্ররোচনায় মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয়। বর্বর এ ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে বগুড়া। দৃষ্টান্তমুলোক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করছে বিভিন্ন সংগঠন।