অপরাধ ডেস্কঃ
আইনজীবী রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছে।শনিবার (১০ নভেম্বর) সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখতারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, কামরুল ইসলামের লাশ বর্তমানে রমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৯ মার্চ সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে আইনজীবী রথিশ চন্দ্রের কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার স্ত্রী দীপা ভৌমিক অভিযোগ করেছিলেন। পরে এ ঘটনায় তার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ প্রথমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহত আইনজীবী রথিশের স্ত্রী দীপা ভৌমিকের প্রেমিক কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোনও তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এরপর ৪ এপ্রিল র্যাব দীপা ভৌমিককে আটক করে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে রথিশ চন্দ্রকে প্রেমিক কামরুল ইসলামের সহায়তায় ২৯ মার্চ রাতেই তাদের বাবু পাড়া বাসায় হত্যা করে লাশ কামরুলের নির্মাণাধীন বাসায় মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে দীপা ভৌমিক ও কামরুল ইসলাম দু’জনেই আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রথিশ চন্দ্রকে খাবার সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
বর্তমানে মামলাটির বিচার রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ এবিএম নিয়ামুল হকের আদালতে চলছে। ইতোমধ্যে মামলার বাদী সুশান্ত ভৌমিক সহ ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে সরকার পক্ষের আইনজিবী পিপি আব্দুল মালেক অ্যাডভোকেট জানিয়েছেন।
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন