আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। জনসচেতনতা বাড়াতে হরমন সংশ্লিষ্ট এই রোগটির প্রকোপ শহর ছাড়িয়ে এখন গ্রামেও বেড়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে যে পরিমাণ মানুষ ডায়াবেটিকস এ আক্রান্ত, এর পাঁচ থেকে আট শতাংশই গ্রামে বসবাস করে। বিশেষজ্ঞরা বললেন, এটা বৈশ্বিক পরিবর্তনের ফলাফল।
তাই জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা। আর দরিদ্র রোগীরা, ওষুধ আর ইন্সুলিনের দাম কমানোর দাবি জানান। এক সময়ের বদ্ধ ধারণাকে ভ্রান্তই প্রমাণ করেছে, শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতিতে তৈরি বিপাকজনিত রোগ ‘ডায়াবেটিস’। এই রোগটি এখন শহরেই শুধু নয়, প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতেও বেড়েছে।
দিনাজপুরের প্রত্যন্ত উপজেলা বিরামপুরের একটি ডায়াবেটিস ক্লিনিকের চিত্র এটি। এখানে প্রতিদিন শতাধিক মানুষ আসে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা নিতে। বর্তমানে যার সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। এমন আরো দু’টি ডয়াবেটিস এর ক্লিনিক আছে হিলিতে।
ওষুধ আর ইন্সুলিনের দাম বেশি হওয়ায় সংসারের খরচ চালানোর পাশাপাশি ওষুধ কিনতে বেকায়দায় পড়তে হয় অনেকেরই। তাই ওষুধের দাম কমানো দাবি তাদের।প্রতিদিন এতো সংখ্যক ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
আর এসব রোগীর বেশির ভাগই আসছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে। ডায়াবেটিস থেকে বাঁবতে নিয়োমিত শারীরিক পরিশ্রম, খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ আর জনসচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ বিশেষজ্ঞরদের।