স্পোর্টস ডেস্কঃ
আইপিএলে মুম্বাইয়ের শেষ ম্যাচে পায়ের আঙুলে চোট পেয়েছিলেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। যে চোটের কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে ভারতের দেরাদুনের যেতে পারেননি তিনি। তাই দেশে ফিরে চোটের তীব্রতা সম্পর্কে টাইগারদের ফিজিওর কাছে বিস্তারিত না বলায় জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।
২০ মে দিল্লির ডেয়ারডেভিলসের দিল্লির বিপক্ষে পায়ে চোট পান কাটার মাস্টার। যদিও দেশে ফিরে শনিবার মিরপুরে বাংলাদেশ দলের সাথে অনুশীলনে যোগ দেন তিনি। সেসময় দলের ফিজিওকে ফিজ জানিয়েছিলেন চোট সামান্য। ফলে দুইদিনের বিশ্রামে রাখা হয় তাকে। আশা করা হয়েছিল এর মধ্যে সেরে উঠবেন তিনি। কিন্তু সোমবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জানিয়ে দিয়েছেন, তিন সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে মুস্তাফিজকে। ফলে আফগানিস্তানের বিপক্ষের সিরিজ থেকে ছিটকে যান মুস্তাফিজ।
চোটের কারণে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিটকে পড়ায় কিছুটা অসন্তুষ্ট বিসিবি। তবে সবচেয়ে বেশি অসন্তুষ্ট চোটের গভীরতা নিয়ে মুস্তাফিজ বিসিবিকে কিছু না জানানোয়। বিসিবির ক্রিকেটে অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘ভারত থেকে ফিরে এসে সে ফিজিওকে বলেছিল যে সে চোট পেয়েছে। আমরাও টিভিতে দেখেছি আইপিএলে শেষ ম্যাচে সে চোট পেয়েছে। কিন্তু চোটের গভীরতা সম্পর্কে সে ফিজিওকে পরিষ্কার করে কিছু বলেনি। সে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। তারপর দুই দিনের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এরপর দেশ ছাড়ার আগের সন্ধ্যায় সে জানিয়েছে তার তীব্র ব্যথা হচ্ছে। তখন স্ক্যান করা হলে তার ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে।’
মুস্তাফিজ দেশে ফিরেই ব্যথার তীব্রতা সম্পর্কে বোর্ডকে না জানানোয় বেজায় খেপেছেন আকরাম। ফলে বিদেশি লিগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের অনাপত্তি পত্র দেওয়ার বিষয়েও নতুন করে বোর্ডের সাথে আলোচনা করবেন তিনি। আর বিদেশি লিগ খেলতে গিয়ে দেশের হয়ে খেলতে না পারার বিষয়টিতে নৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘এটা দলের নৈতিকতার ওপর আঘাত। সে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। বিসিবির ডিরেক্টর ও নির্বাচকদের উপস্থিতিতে আমি তার সাথে কথা বলব। বোর্ড ডিরেক্টদের কাছে আমি আমার পর্যবেক্ষণ জানাব। এ ধরণের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লিগগুলোতে আমাদের খেলোয়াড়দের খেলা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। আমি মনে করি এ বিষয়ে সিরিয়াসলি ভাববার সময় এসে গেছে।’