নাজমুল হাসান সাগর | বীরগঞ্জের বিভিন্ন কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করার পর ঢাবিতে খ শাখায় ভর্তি পরীক্ষা দেন রুণা,উদ্ভব,সুমন ও হাসিনুর। শুধু ঢাবিতে পড়বে এমন ইচ্ছেই তাদের এগিয়ে নিয়ে গেছে সামনের দিকে।ইচ্ছে শক্তি আর মেধা বাদে উল্লেখিত চার শিক্ষার্থীর ঢাবিতে পড়ার মতো না ছিলো অর্থনৈতীক সামর্থ্য, না ছিলো পারিবারিক সমর্থন।
জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে বীরগঞ্জের এই চার মেধাবি মুখ ঢাবি খ শাখায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং মোটামোটি ভালো ফল নিয়ে তারা ভর্তির সু্যোগ পান। ভর্তির সুযোগের খবর এই চার মেধাবির জীবনে যতটুকু না আনন্দ বয়ে এনেছিলো তার থেকে বেশি এনেছিলো দুশ্চিন্তা। ভর্তি হতে টাকা লাগবে অনেক ।
এত টাকা তারা পাবে কোথায়? এগিয়ে আসে বিভিন্ন গণ মাধ্যম,তাদের খবর প্রকাশ করে বেশ কিছু মাধ্যমে। এই খবরগুলো নজরে আসে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম হোসেনের। তিনি বীরগঞ্জ-কাহারোল আসনের সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপালের সহায়তা কামনা করেন।
পরিশেষে বীরগঞ্জ উপজেলা প্রসাশন ও সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল এর যৌথ উদ্দ্যগে সোমবার (১৬-১০-১৭) বিকেল চারটা বেজে এক ঘরোয়া সভার মাধ্যমে, বীরগঞ্জ উপজেলা প্রসাশনের সভা কক্ষে এই চার মেধাবির হাতে নগত বিশ হাজার করে টাকা সহায়তা দান করেন সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
উক্ত সভায় বীরগঞ্জ ইউএনও মোহাম্মদ আলম হোসেন ও বীরগঞ্জ-কাহারোল আসনের সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, ভর্তি বাবদ যে টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছ এটা সাময়ীক। তোমরা যেন শিক্ষা জীবনটাও স্বচ্ছলতা নিয়ে কাটাতে পারো সে বিষিয়টাও আমরা দেখবো। সর্বাত্নক সহযোগীতা থাকবে তোমাদের জন্যে।