নিজস্ব প্রতিবেদক | চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে সদ্য এস এস সি পরীক্ষা শেষ করা এক ছাত্রীকে ধর্ষন করেছেন দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইয়াসিন আলী। এমন অভিযোগে আদালতে একটি ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাও করেছেন ‘ধর্ষণের’ শিকার ঐ কিশোরী।
মামলার এজাহার ও সাক্ষীদের মাধ্যমে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী উপজেলা কাহারোলে একটি এনজিও আছে দীপ্ত জীবন ফাউন্ডেশন নামে। ঐ এনজিও প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারী হলেন ইয়াসিন আলী এবং প্রতিষ্ঠাতা স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। প্রতিষ্ঠানটির অন্তর্ভুক্ত একটি দাতব্য চিকিৎসালয়ে নার্সের চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ভিক্টিম কিশোরীকে। ডেকে নিয়ে বীরগঞ্জে অবস্থিত ইয়াসিন আলীর নিজস্ব হাস্কিং মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় এবং তার কাছে থেকে দুটি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এজাহারে আরোও বলা আছে, ধর্ষণের ব্যাপারে মুখ খুললে জবাই করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে ভিক্টিম ঐ কিশোরীকে। গত ২১ মার্চ সন্ধ্যা সাতটার সময় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
ইয়াসিন আলীকে আসামী করে গত ২৮ শে মার্চ দিনাজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন পেশকার মোঃ আজিজার রহমান। বীরগঞ্জ থানাকে আগামী ৬০ কর্ম দিবসের মধ্যে মামলাটির তদন্ত শেষ করার নির্দেষ নিয়েছে আলালত।
এমন ধর্ষনের অভিযোগে বীরগঞ্জ উপজেলায় তুমল আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে । দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাধারন মানুষ বিষয়টা নিয়ে নানা ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
অপরদিকে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ইয়াসিন আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এটি একটি মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। আমার রাজনৈতীক ক্যারিয়ার ধংস করার লক্ষ্যেই এমন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলা ও রটনা করা হয়। যারা এই মামলা করেছে তারা পেশাদার একটি চক্র যারা কিনা অনেকের সাথেই এমন করে এবং বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করে।
সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেবার কথা জানতে চাইলে এই আওয়ামীলীগ নেতা জানান, আসলে এগুলো সব কথাই মিথ্যা। আমি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে কি করবো? বিষয়টা যেহেতু আদালতে উঠেছে এই ব্যাপার আদালতেই সুরাহা হবে।