নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় আজ ১৪ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দুপুর সোয়া বারোটার সসময় সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।
উক্ত সড়ক দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক বাসের হেলপারসহ ২ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১৫ জনের অধিক। প্রাথমিক ভাবে আহতদের রংপুর প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত দুইজন হলেন মিঠাপুকুর উপজেলার আফজাল পুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫৫) ও রংপুর নগরীর বড়বাডি হিন্দু পাড়ার যোগেশ চন্দ্রের পুত্র দুলাল চন্দ্র (৪৫)।
কর্তব্যরত পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এমকে পরিবহন(রংপুর-জ ০৪-০০৩১)নামের একটি বাসের চালক বদরগঞ্জ রোড থেকে বের হয়ে পীরগঞ্জ ভেন্ডাবাড়ি দিয়ে নবাবগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে টার্মিনাল মোড়ে গাড়িটি ঘুরিয়ে নিচ্ছিলেন, সেসময় বেপরোয়া গতিতে আসা গাইবান্ধাগামী মায়ের আশির্বাদ পরিবহন (ঢাকা মেট্রো- জ ১৪-১০৮৬) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এমকে পরিবহনের বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে এমকে পরিবহন গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে উল্টো যায় রাস্তায়। এতে ঘটনাস্থলে এক নারীসহ ২ জন মারা যায়। আহত হয় অন্তত ১৫ জন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে এমকে পরিবহনের ভিতর থেকে নিহতের মরদেহ ও আহত যাত্রীদের উদ্ধার করেন। পরে আহতদের এ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আবু মারুফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এসময় তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সাইফুর রহমান সাইফসহ কোতয়ালী থানা পুলিশের কর্মকর্তারা। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র বিক্ষুব্ধ জনতাকে রুখতে ঘটনা স্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, বাসে বাসে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলে তিন জন নিহত হয়েছে। আহতদের রমেকসহ একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনার সাথে সাথে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। তবে বাস দুটি পুলিশ জব্দ করেছে।
উল্লেখ্য, রংপুর প্রাইম হাসপাতালে অবস্থান করা আহতের এক স্বজনের সাথে কথা বলে জানা যায় বেশ কিছু যাত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হয়েছে যাদের অবস্থা খুব ভালো না। যদিও হাসপাতলে এখনো কারোও মৃত্যু হয়নি তবুও আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।