জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির যুগেও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নারীরা জানেই না জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কী । আর অল্প সংখ্যক নারী, যারা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন তারাও আগ্রহী নন এই পদ্ধতি গ্রহণে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, রোহিঙ্গা নারীদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে উদ্ধুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।এখনই জন্ম নিয়ন্ত্রণে সচেতন করা না গেলে রোহিঙ্গা উদ্ধাস্তুর সংখ্যার বিস্ফোরণ হতে পারে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া নুরুন্নাহারের বয়স ২৪ । সন্তান চারটি। আরো একজন আসার অপেক্ষায়। বাংলাদেশের নারীদের কাছে অস্বাভাবিক হলেও রোহিঙ্গা নারীদের কাছে বিষয়টা খুবই স্বাভাবিক। দারিদ্র, শিক্ষার অভাব, আর কুসংস্কারে আচ্ছন্ন রোহিঙ্গা নারীরা মনে করেন সন্তান দেন সৃষ্টিকর্তা, রিযিকের দেখভাল তিনিই করবেন। আর জন্ম নিয়ন্ত্রণ করাটা পাপ।
চিকিসকরা বলছেন, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে খুব বেশি একটা আগ্রহী নয় রোহিঙ্গা নারীরা। তবে তাদের এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে কাজ করছেন তারা। বিশেষঞ্জরা বলছেন, নতুন করে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ষাট ভাগই নারী।
তাদের এখনই জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ সম্পর্কে সচেতন করতে কাজ করতে হবে। রোহিঙ্গা নারীদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহনে আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন সেবা সংস্থাকে আরো জোরালে ভূমিকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।