আপনাদের মুখের হাসি আমাদের অনুপ্রেরণা —
এই পাচটি শব্দের মাঝে যেন লুকিয়ে আছে গভীর মানবতার আহ্বান, মনুষ্যত্বের জয়গান, ভ্রাতৃত্বের অনুসন্ধান।
বীরগঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন এসএবিডি- করোনা দূর্যোগে তাদের উপজেলার অসহায় পরিবারদের পাশে দাড়িয়েছে জরূরী খাদ্য সামগ্রী নিয়ে। তারা নিজস্ব উদ্যোগে কিছু কিছু টাকা সংগ্রহ করে এবং বীরগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সহযোগিতায় অর্থ সংগ্রহ করে সেই অর্থের মাধ্যমে খাদ্য ক্রয় করে বিতরণ শুরু করেছে। এই স্বেচ্ছাসেবায় যারা জড়িত তারা সবাই সচেতন এবং শিক্ষিত তবুও, তাদের শিকড়ের টানে এবং জন্মভূমির মাটির মানুষের মায়ায় স্বাস্থ্য ঝুকি জেনেও ঘরে বসে থাকতে পারে নি, তাদের নাড়ীর স্পন্দন তাদের চুপ রাখতে পারে নি।
জরুরী সেবা পৌছাতে হবে অনেকের কাছে। তাদের কাছে প্রতিনিয়ত খবর আসছে অমুকের বাড়িতে চুলা জলছে না, অমুকে ভাত খাইতে পারে না দুই দিন। এইসব খবরে স্বেচ্ছাসেবকরা ঘুমাতে পারে না, খাইতে পারে না। খেতে বসলে ভেসে উঠে অনাহারী কিছু শুকনা মুখ, ঘুমাতে গেলে কানে বাজে ভাই কিছু করেন আপনারা। বীরগঞ্জের যারা স্বাচ্ছন্দ্যে তিনবেলা ভালভাবে খেতে পারছি তারা এখন মোটামুটি খেয়ে সেই অর্থ তিনদিন ধরে না খাওয়া জীবন বাচানোর জন্য দান করতে পারি। যাদের খাওয়ার পরে সিগারেট না টানলে চলে না, এই সময় এক প্যাকেট সিগারেটের টাকা বাচিয়ে তাদের সেবায় ব্যয় করতে পারি। ঘন্টার পর ঘন্টা মোবাইলে হুদাই কথা বলা থেকে বিরত রেখে সেই টাকা তাদের সেবায় ব্যয় করে অবদান রাখিতে পারি। আমরাই পারি আমাদের গ্রামের না জ্বলা চুলায় আগুন জ্বলাতে, অনাহারী মুখে অন্ন তুলে দিতে, বাড়িয়ে দিন ভালোবাসার হাত।
মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে
একটু সহানুভূতি কী মানুষ পেতে পারে না!!
মাহমুদুল হাসান
বীরগঞ্জবাসীর পক্ষে