খেলাধুলা ডেস্কঃ
গতকাল রাত ১০টায় সাকিব আল হাসান রওনা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। উদ্দেশ্য, অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদ মেলবোর্নেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গ্রেগ হয়কে চোট পাওয়া বাঁ হাতটা দেখানো এবং অস্ত্রোপচার নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু রওনা দেওয়ার আগে সাকিব এক মন খারাপের খবরই শুনিয়ে গেছেন। জানিয়েছেন, তাঁর আঙুলটা আর কখনোই ফিরে আসবে না আগের জায়গায়।
জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চোট পেয়েছিলেন বাঁ হাতের কড়ে আঙুলের গোড়ায়। এই চোট কোনোভাবে সামলে খেলে গেছেন গত নয় মাস। এখন চোট সারাতে সাকিবের অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই। তবে অস্ত্রোপচার বিলম্বিত হচ্ছে হাতে সংক্রমণ হওয়ায়। আপাতত সাকিব অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছেন হাতের সংক্রমণের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ও অস্ত্রোপচারের সম্ভাব্য সময় ঠিক করতে। উড়ান ধরার আগে কাল রাতে সংবাদমাধ্যমে যেটি জানিয়ে গেছেন সাকিব, সেটি শুনলে মনই খারাপ হয়ে যাবে দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের, ‘সংক্রমণ সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা। ওটা যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো পার্সেন্টে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো শল্যবিদ অস্ত্রোপচার করবে না। ওখানে হাত দিলে হাড়ে চলে যাবে, আর হাড়ে চলে গেলে পুরো হাত নষ্ট! এখন আসল ব্যাপারটা হচ্ছে কীভাবে সংক্রমণটা কমানো যায়। এই আঙুলটা আর কখনো শতভাগ ইয়ে (ঠিক) হবে না। যেহেতু নরম হাড়, আর কখনো জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। পুরোপুরি ঠিক হবে না। অস্ত্রোপচার করে ওরা এমন একটা অবস্থায় এনে দেবে হাতটা, ব্যাট ভালোভাবে ধরতে পারব, ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারব।’
চোট থেকে সেরে উঠতে যে সময় লাগবে, তাতে দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা হবে না সাকিবের। বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের আশা, সেরে উঠবেন জানুয়ারিতে বিপিএলের আগেই, ‘সংক্রমণটা আগে দূর করতে হবে। ওটা চলে গেলে আসলে বোঝা যাবে কত সময় লাগবে। আর আসল অস্ত্রোপচার করা হলে ছয় থেকে আট সপ্তাহ লেগে যাবে। সাধারণত ছয় সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যায়, দুই সপ্তাহ বেশি ধরে রাখা হয়। যদি ছয় সপ্তাহের মধ্যে হয়ে যায়, তাহলে বিপিএলের বেশ আগে ফিট হয়ে যাবে।’
চোটে পড়ে সাকিব নেই, তামিম ইকবালও নেই। মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মুর্তজা কিংবা মাহমুদউল্লাহ, সবাই কমবেশি চোটে পড়েছেন। আসন্ন দুটি হোম সিরিজে দলের এই পাঁচ ভরসার সেবা বাংলাদেশ একসঙ্গে পাবে না। এতে দল প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার তুলনায় পিছিয়ে থাকবে না তো? সাকিব তা মনে করেন না, ‘আমাদের যে জীবন, কিছু না কিছু করতে হয়। সেখানে বাসায় বসে থাকা একটু হতাশার। সবাই ভাবি আমরা (সিনিয়র খেলোয়াড়েরা) ছাড়া দল চলবে না। এই যে সুযোগ পেল (এশিয়া কাপে) তারা (জুনিয়ররা) কিন্তু ঠিকই পেরেছে। আরও কিছু খেলোয়াড় যদি না খেলে, মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে।’