প্রথমেই বলা ভালো যে, আকসু আইসিসির এমন একটি ইউনিট যে তারা দূর্নীতি বিষয়ক যেকোন তথ্যের ভিত্তিতে যে কোন দেশের খেলোয়াড়ের উপর নজর রাখা এমনকি সাক্ষাতকারও নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। উপযুক্ত প্রমাণের পরই তারা সকল তথ্য আইসিসির নিকট হস্তান্তর করে।
সাকিব আল হাসান ২০০৮ সালে “জুয়াড়ির ম্যাচ ফিক্সিং এর প্রস্তাব” আইসিসিকে জানালেও ২০১৭ সালের পর ভারতের অন্যতম বড় জুয়াড়ি ‘দিপক আগারওয়াল’ অথবা অন্য কোন জুয়াড়ির থেকে যে প্রস্তাব পান তা আইসিসি বা আকসু অথবা অন্য কোন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানাতে ব্যর্থ হন।
ঘটনাটি ১০-১৫ দিন আগের নয়। এ বছরের জানুয়ারি মাসে জুয়াড়ির প্রস্তাব প্রসঙ্গে দুবাইতে আকসু সাকিব আল হাসানেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যা সে সময় কোন সংবাদমাধ্যমে আসেনি। এমন কি গত আগষ্ট মাসেও তাকে দ্বিতীয় বারের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাহলে এটা স্পষ্ট যে আকসুর পর্যবেক্ষণ বা নজরদারি গত কয়েক বছর থেকেই চলছে।
এই শাস্তি কি বাংলাদেশের প্রতি আইসিসির নেতিবাচক মনোভাবের কারনে?
“ইন্ডিয়া-টুডে” তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে,সাকিব আল হাসান ‘দিপক আগারওয়াল’ এর সাথে আগে দেখা করতে চেয়েছেন। তারপর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাকিব ও আগারওয়ালের বেশ কিছু কথপোকথন মুছেও ফেলেছেন সাকিব। যা তিনি পরবর্তীতে স্বীকার করেছেন। দীর্ঘদিনের এতো যোগাযোগের পড়েও তিনি তা আইসিসিকে জানান নি।
‘ম্যাচ ফিক্সিং প্রস্তাব’ আইসিসিকে অবগত না করার কারণে সাকিব আল হাসান যে কেবল নিষিদ্ধ হয়েছেন তা নয়। এর আগেও ৫/৬ জন বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার এসব কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন নানা মেয়াদে। উদাহারণ হিসেবে শ্রীলংকার সানাৎ জয়সুরিয়ার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।
সুতরাং সাকিবের উপর এই পর্যবেক্ষণ দুই- একদিনের না এবং গত এগারো দফার সাথেও এর কোন মতযোগ নেই। আকসু সাথে নাজমুল হাসান পাপনের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কারণ ক্ষমতা বলে বিসিবির প্রেসিডেন্ট হয়ে পাপন আইসিসিকে কোনভাবেই প্রভাবিত করতে পারে না। মূলত এগারো দফা দাবী এবং সাকিবের উপর এই নিষেধাজ্ঞা সমসাময়িক ঘটনা হওয়ার কারণে নাজমুল হাসান পাপনকে দোষারোপ করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন!
সাকিব আল হাসান ক্রিকেটে ফিরবেন আগামী বছরের ২৯ অক্টোবরে যদি না এর মাঝে তিনি নতুন করে কোন ভুল করে ফেলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট তাকে পাবেনা ৩৬ টি ম্যাচে।
লিখেছেনঃ রেজাউল সরকার রনি
একজন ক্রিকেট প্রেমি