নাজমুল হাসান সাগর: দারিদ্রতার কারণে বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম হচ্ছিলো মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ পাঁচ পাওয়া রুণার উচ্চ শিক্ষা। এই মর্মে খবর প্রকাশ হয় বীরগঞ্জ নিউজ ২৪ এ । তারপর এলাকার সচেতন মহলের উদ্যোগে রুণার উচ্চ শিক্ষা অব্যাহত রাখার তাগিতে বাড়ানো হয় অর্থণৈতিক সহযোগিতার হাত। রুণা পারি জমায় রংপুরে ভর্তি পরীক্ষার জন্যে পড়া শোনা করে নিজেকে ঢাবিতে চান্স পাবার মতো উপযোগী করার লক্ষে।
অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, খ ইউনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন রুণা। আজ ফলাফল প্রকাশের পরে আমাদের প্রতিবেদক যোগাযোগ করেন তার সাথে। রুণার উচ্ছসিত কণ্ঠ শুনেই বুঝতে বাকি থাকে না রুণা তার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের টিকেট পেয়ে গেছেন হাতে। খ ইউনিট থেকে ১৭৫৪ তম হয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছেন রুণা। অনুভুতি জানতে চাইলে রুণা খুশিতে কিছুই গুছিয়ে বলতে পারেন নাই। এলাকাবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন,যাদের সহযোগিতায় রুণা তার স্বপ্ন পূরণের টিকেট হাতে পেয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তারপর আমরা যোগাযোগ করি রুণার পরিবারের সাথে। রুণার মা রুনার এমন সাফল্যের খবরে খুশিতে অশ্রু শিক্ত হয়ে বলেন, ‘আল্লাহ গরীবের মুখ দেখা পাইছে বাহে।কত দিন যে নামাজ পড়িয়া মোর এই ছাওয়াটার তানে(জন্যে) দোয়া করিছু সেইটা আল্লাহ ভালো জানে। মোর দোয়া আর রুণার পরিশ্রম আল্লাহ শুনিছে, দেখিছে । এলা মোর বেটি যেন,আরও ভালো কিছু করিবার পারে সেই দোয়া তোমরাও করেন।’
উল্লেখ্য রুণা ঝাড়বাড়ী কলেজ থেকে এবার এইচ.এস.সি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ পাঁচ পেয়ে উত্তীর্ন হয়েছিলেন। রুণার এমন সাফল্যে তার কলেজের সকল শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং রুণার উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করেছেন।
রুণার লেখা পড়ার গাইড তার কলেজের শিক্ষক গোলাম রব্বানী জানান, আমি একটু আগেই খবর পেলাম । রুনার এমন সাফল্যে আমি অনেক খুশি হয়েছি। তার আগামী আরও সুন্দর , উজ্জ্বল এবং সাফল্য মন্ডিত হউক আমি এই কামনাই করি।