রাশেদ রুম্মানঃ
এইতো গত শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় দলীয় নেতাদের নিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে আসেন। সেই সফরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উত্তরবঙ্গের অনেক রেল ষ্টেশনেই পথসমাবেশ করেন ওবায়দুল কাদের, বাদ যায়নি সৈয়দপুরও। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আগমন উপলক্ষে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ১০টি বৈদ্যুতিক পাখা তাৎক্ষনিকভাবে লাগানো হয়। তবে পথসমাবেশ শেষে মন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের অন্যান্য নেতারা চলে গেলে আবারও সেলিং ফ্যান শূন্য হয়ে পড়ে সৈয়দপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম।
পরবর্তীতে এটা নিয়ে খবর চাওড় হলে দুই দিনের মাথায় পুনরায় ফ্যানগুলো লাগিয়ে দেয়া হয়। জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে সৈয়দপুরে রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার হাউস শাখা থেকে ওই ফ্যানগুলো এনে নতুন করে লাগানো হয়। প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগীয় বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ওই ফ্যানগুলো লাগানো হয়েছিল। স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে বিভাগীয় বৈদ্যুতিক বিভাগের আওতাধীন পাওয়ার শাখার লোকজন খুলে নিয়ে যাওয়া ফ্যানগুলো প্ল্যাটফর্মে পুনরায় লাগিয়ে দেয়। এ সময় ফ্যান লাগাতে আসা বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মচারী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফ্যানগুলো লাগানো হচ্ছে।
এদিকে ফ্যানগুলো লাগানো ও খুলে নেওয়ার বিষয়ে রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার হাউস শাখা এবং রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য মিলেছে। এই বিষয়ে রেলওয়ের বিভাগীয় বৈদ্যুতিক বিভাগের পাওয়ার হাউস শাখার ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে লাগানো ফ্যানগুলোর বিষয়ে স্টেশনমাস্টার লিখিত না দেওয়ায় তা খুলে রাখা হয়েছিল। কারণ এসব সরকারি সম্পদ চুরি হয়ে গেলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে?’ তবে সৈয়দপুর স্টেশনমাস্টার মো. শওকত আলী বলেন, ‘ওই দিন রেলওয়ে বৈদ্যুতিক বিভাগ প্ল্যাটফর্মে ১০টি ফ্যান লাগানো হয়। অথচ তাঁরা সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৪৩টি ফ্যানের বিষয়ে আমার কাছে লিখিত দাবি করেন।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন যাত্রার মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিল অাওয়ামী লীগ। উক্ত সফরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা থেকে নীলফামারীগামী ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের একটি বগি রিজার্ভ করে তারা সফর করেছিল। সফরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশনে ১১টিরও বেশি পথসভা করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। তাদের সফর শেষ হয় নীলফামারী গিয়ে। উক্ত ট্রেন সফরে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি. এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।