বীরগঞ্জ নিউজ২৪ ডেস্কঃ
ইনক্রিমেন্টের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শফিউল আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশাসন ভবনের তৃতীয় তলায় রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় দিকে পদোন্নতি পাওয়া ৫৭ শিক্ষক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারের কক্ষে গেলে ইনক্রিমেন্ট ইস্যুতে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় গত ২২ নভেম্বর প্রক্টর অধ্যাপক খালেদ হোসেন ও ছাত্র পরামর্শক অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, চার ছাত্রসহ ৬০ জনের নামে নারী শিক্ষককে লাঞ্ছনা, ছিনতাই ও অন্য শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগে থানায় একটি মামলা করা হয়। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান জামিল বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এদিকে ওই ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শফিউল আলম কোতোয়ালি থানায় পাল্টা একটি এজাহার জমা দেন, যা গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রেকর্ড হয়নি। যাতে আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষকের নাম রয়েছে। এ নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বৃহস্পতিবার কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধানের কক্ষে যান। এ সময় কোষাধ্যক্ষ শিক্ষকদের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা রেজিস্ট্রারের কক্ষে গেলে তিনি মধ্যাহ্নভোজে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যান। এ সময় পদোন্নতি পাওয়া দুই সহকারী অধ্যাপক রেজিস্ট্রারকে কিল-ঘুষি মেরে হাত ধরে টেনে নিচে নিয়ে আসেন। পরে অন্য শিক্ষকরা রেজিস্ট্রারকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারের কাছে ফোন করা হলে তিনি সভা করছেন বলে লাইন কেটে দেন। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শফিউল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। উপাচার্য ক্যাম্পাসে নেই। তিনি এলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
সুত্রঃ কালের কন্ঠ
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনঃ