ঘুরে আসুন কান্তজীর কাশবন, রথ দেখা কলা বেচা দুটোই হবে

সময়টা শরৎ কাল।একটা সময় ছিলো শরৎ এলেই গ্রামীন পরিবেশ ও প্রকৃতিতে নেমে আসতো আলাদা এক ধরনের শুভ্রতা।কাশবন ছেয়ে যেতো সাদা কাশ ফুলে ফুলে।সময়ের আবর্তনে আর সভ্যতার ক্রমবর্ধমান ধারাবাহিকতায় আগের মতো কাশ বাগান আর কাশ ফুলের সুভ্রতার সেই মাখা মাখি পরিবেশ এখন নেই।এখনো শরৎ এলেই প্রকৃতি প্রেমি আবালবৃদ্ধবনিতা মনে মনে খুজে ফেরে শরৎ এর কাশ ফুল, হারিয়ে যেতে চায় শুভ্রতার সাম্রাজ্যে।

এমন সব প্রকৃতি প্রেমী মানুষগুলো যেতে পারেন কান্তজিউ সংলগ্ন ঢেপা নদীর তীরে কাশবনে ভ্রমণ বিলাসে।শরৎকালে নদীতীরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সাদা কাশফুল ফুটে আছে। দেখে যেন মনে হয় শুভ্র মেঘের আকাশ যেন নেমে এসেছে জমিনে। যতদুর চোখ যায় ততদূর ছেয়ে রেখেছে সাদা কাশফুল।এ যেন মাটির বুকে এক টুকরো সাদা মেঘের আকাশ।

নদীর মৃদু ঢেউ, জেলেদের মাছধরা, ডিঙি নৌকা আর ফুরফুরে বাতাস-সবমিলিয়ে অসাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশ!দিনাজপুরের ঐতিহাসিক ‘কান্তজিউ মন্দির’ সংলগ্ন ঢেপা নদীর তীরে এই পরিবেশের পুরোটাই পাবেন। সাথে উপরি হিসেবে দেখতে পাবেন কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদের মতো পুরাকীর্তি।

বন্ধুবান্ধব বা প্রিয়জন সাথে থাকলে তো কথাই আলাদা। বিকেলবেলাটা সেখানে বসে আড্ডা মারার অনুভূতি অতুলনীয়।নিশ্চয়তা দিচ্ছি-প্রকৃতির এই নান্দনিক দৃশ্য উপভোগ করতে করতে আরো বহুকাল বাঁচার ইচ্ছা করবে।

যেভাবে যাবেন- দিনাজপুর বাস টার্মিনাল বা কলেজ মোড় থেকে ঠাকুরগাঁ – পঞ্চগর রোডে বাসে করে গিয়ে ১২ মাইল নামবেন। তারপর ইজিবাইক বা ভ্যানে করে কান্তজিউ মন্দির। বিকল্প, বাসের ঝামেলা এড়াতে চাইলে ইজিবাইকে করেও সরাসরি কান্তজিউ মন্দির যেতে পারেন। তবে ভাড়াটা আগেই ঠিক করে নিবেন।দিনাজপুর সদর থেকে সবমিলিয়ে জনপ্রতি আসা-যাওয়া সহ ৫০/৬০ টাকা খরচ পড়বে খাওয়া বাদে।

এটা হতে পারে দিনাজপুর এর অন্যতম মৌসুমী পর্যটণ স্থান।সেক্ষেত্রে দিনাজপুর এর পর্যটন শিপ্লকে আরোও শক্তিশালী করার জন্যে জেলা পর্যটন অধিদপ্তর বিষয়টা নিয়ে ভাবতে পারে। এই স্থানটা নিয়ে আলাদা করে ভাববার সময় এসেছে বলে মনে হয়।

তাইফুর রহমান খান
ফিচার লেখক, বীরগঞ্জ নিউজ ২৪

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *