নাজমুল হাসান সাগর : রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম সড়ক এবং সড়ক সংস্লিষ্ঠ দেওয়ালগুলোয় দেখা যাচ্ছে এক ব্যাক্তির আর্ট করা ছবি। যার হাতে একটি শেকল বন্দি খাঁচা। খাঁচার ভেতর লাল টুকটুকে একটা সুর্য্য।খাঁচা বন্দি সুর্য্যটা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে উষ্ণ-খুস্ক চুল,অনাহারক্লিষ্ট দেহ আর জরাজীর্ণ বসনের এক মানুষ। ছবির আশে পাশে লেখা রয়েছে নানা রকমের উক্তি।যেমন, “সুবোধ তুই পালিয়ে যা-সময় এখন পক্ষ্যে নাই,সুবোধ তুই পালিয়ে যা-তোর ভাগ্যে কিছু নাই,সুবোধ তুই পালিয়ে যা- ভুলেও ফিরে তাকাইস না,সহ বেশ কিছু উক্তি।
নগর জীবনের সাথে জরিত অনেকেই এই দেওয়াল শিল্পটাকে “গ্রাফিতি” নামে জানে বা চেনে।বাংলাদেশে খুব কম হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে গ্রাফিতিটা বেশ জনপ্রিয়। নানা ভাব বা মত বোঝাতে গ্রাফিতি আর্ট করেন এর আকিয়েরা। প্রতিকি ভাবে বিভিন্ন বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয় এমন দেওয়াল শিল্প।
ঢাকার দেওয়ালে এমন সচরাচর দেখা না গেলেও এবার খুব জোরালো ভাবেই চোখে পরছে “সুবোধ গ্রাফিতি” ।সাধারন উৎসুক জনতা থেকে শুরু করে প্রসাশনসহ সবার নজরে এসেছে এই গ্রাফিতি। আলোচিত ও সমালোচিতও হচ্ছে বেশ।সাধারন মানুষ বা বোদ্ধারা বলছেন,সুবোধ বর্তমান বাংলাদেশেরই চিত্র।নানা অনিয়ম,দুর্নিতি,হতাশা আর অন্যায় থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাইছে সুবোধ। এ যেন,কোটি মানুষের অব্যাক্ত প্রাণের ভাষা।
কারা যেন খুব গোপনে এসে এমন বার্তাবাহি গ্রাফিতি এঁকে রেখে গেছে তাদের খবর কেও জানে না।মজার ব্যাপার হলো কারা এই গ্রাফিতি এঁকেছেন তাদের সন্ধানে মাঠে নেমেছেন দেশের গোয়েন্দারা।গোয়েন্দারা জানতে চায় এমন গ্রাফিতিতে আসলে কি বুঝাতে চেয়েছেন আঁকিয়েরা।