নাজমুল হাসান সাগর: খানসামা থানা পুলিশ, নিয়ম বহির্ভুত ভাবে যারা মোটর বাইক চালায় তাদের জন্যে আতংকের নাম।নিয়মিত নানা অভিযান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে খানসামা থানা পুলিশ। কখনো ট্রাফিক সার্জেন্টদের সহযোগীতা আবার কখনো মেজিস্ট্রেট এর পরিচালনায় করা ভ্রাম্যমান আদালতে সহযোগীতা করে আসছে খানসসামা থানা পুলিশ।উদ্দেশ্য একটাই কেউ যেনো অবৈধ মোটর বাইক কিংবা অনিবন্ধিত মোটর বাইক রাস্তায় না চালাতে পারে।
খানসামা থানা পুলিশের এমন উদ্দ্যগে অনেকেই নাজেহাল হলেও সর্বস্তরের মানুষের ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। অনেকটা কমে গিয়েছে অনিবন্ধিত মোটর বাইকের সংখ্যা। চলতি বছরের শুরু দিক থেকে এমন উদ্দ্যগ নিয়েছে খানসামা থানা পুলিশ। থানা সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে এই মাসের শেষ পর্যন্ত মোট ১২৪টি মামলা হয়েছে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে মোটর বাইক চালকদের বিরুদ্ধে।নিবন্ধনহীন ও ইনসুরেন্স বিহিন মোটর বাইক এর সংখ্যাই বেশি। এছাড়া হেলমেড, সু ও অন্যান্য নিয়ম না মেনে মোটর বাইক চালানোর কারনেও বেশ কিছু মামলা ও জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মোটর বাইক ও চালকদের প্রতি হঠাৎ কেনো এমন অবস্থানে খানসামা থানা পুলিশ? জানতে চাওয়া হয় খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন প্রধানের কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, শুধু খানসামা থানা পুলিশ নয় সারা দেশেই এক অবস্থা। নানা ধরনের অপরাধ কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অপরাধিরা অপরাধ করার সময় মোটর বাইক ব্যবহার করে।সেগুলো অনিবন্ধিত হওয়ায় অপরাধিদের সনাক্ত করতে বেগ পেতে হয়।
প্রপার রুলস মেনে না চলায় অনেক সময় বড় বড় দুর্ঘটনা হয়।দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরে খোজ নিয়ে দেখা যায় তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই।
মোটর বাইক চুরি এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা । যাদের বাইক চুরি হয় তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে লিগ্যাল এ্যাকশনে যাবার পরে দেখা যায়,সেই বাইকটি অনিবন্ধিত। সেক্ষেত্রে কখনো কখনো বাইকটি উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।
দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় ও অনিবন্ধিত মোটর বাইকের সংখ্যা যতদিন কমবে না ততদিন এই ব্যাবস্থা জারি থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।