ফাগুনের আগুনধরা গুন গুনের সাথে বইছে ভালোবাসার উষ্ণ হাওয়া

ফাগুনের আগুনধরা গুন গুনের সাথে বইছে ভালোবাসার উষ্ণ হাওয়া। আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ভ্যালেন্টাইনস ডে। হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার দিন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ ধ্বনিত হচ্ছে ভালোবাসার পঙক্তিমালা, গুঞ্জরিত হচ্ছে ভালোবাসার গানের অমর সুরলহরী।

‘ভালোবাসি তোমায়’। এই শব্দটির মধ্যে লুকানো স্বর্গীয় সুখের ছোয়াঁ অনুভব করেন শুধু তারাই যারা ভালোবাসেন। ভালোবাসি শব্দটি পৃথিবীতে সার্বজনীন, চিরন্তন আর শ্বাশত। মানব মানবীর প্রতি চিরন্তন আকর্ষনের টানাপোড়েনের নামই প্রেম, ভাললাগা, ভালবাসা।

ভালোবাসা মানে না কোনো যুক্তির মানা। অদম্য সে টানে মানুষ আসে মানুষের কাছে । ছুটে যায় নৈসর্গের কাছাকাছি। ভালোবাসা কথাটা এতই মধুর যে বারবার শুনলেও তৃষ্ঞা মিটেনা। প্রেমের মাতাল হওয়ায় প্রিয় মানুষের সাথে দীর্ঘ সময়ও মনে হয় এক পলকের। অনুভূতিগুলো ভাগাভাগি করতেই এক পর্যায়ে বন্ধন হয় গাঢ়, জন্ম নেয় ভালোবাসার। চোখে ভর করে আগামীর স্বপ্ন।

যে ভালোবাসা দিবস ঘিরে দুনিয়ায় এত মাতামাতি, তার সূচনা হয়েছিল ২৭০ খ্রিস্টাব্দে, সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক যাজকের মুত্যুর মধ্য দিয়ে। যিনি ভালোবাসা প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। সেসময় রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লদিয়াস ছিলেন অত্যাচারী শাসক। তিনি তার রাজ্যে তরুণ-তরুণীর বিয়ে বা প্রেম নিষিদ্ধ করেছিলেন।

সাহসী ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন সম্রাটের নির্দেশ অমান্য করে গোপনে একদল তরুণ তরুণীর বিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে কারাবরণ করতে হলো তাকে। কারাবন্ধী অবস্থায় নিজেও জড়িয়ে পড়েন অত্যাচারী রোম সম্রাটের মেয়ের প্রেমে। পরিণতিতে তাকে দেওয়া হলো মুত্যুদণ্ড। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি পালন করা হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে। পৃথিবীর সব মানুষের জীবন ভালোবাসায় ভরে যাক, সুন্দর থাক এমন দিনে, সবার কামনা এমনই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *