শান্ত থাকুন নিজের জন্য

নানা কারণে মানুষের মন খারাপ হয়। তখন মন খারাপের প্রভাব সবকিছুতে পড়ে। অশান্তিময় হয়ে যায় চারদিক। অনেক সময় এই খারাপ লাগা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই নিজের জন্য ভালো থাকুন। কীভাবে শান্ত থাকবেন এবং নিজে ভালো থাকার ১০টি কারণ তুলে ধরা হলো।

শান্ত থাকুন
অনেকেই আছেন মুহূর্তে অশান্ত হয়ে যান। অল্পতেই পরিস্থিতি খারাপ করে ফেলেন। সামান্য বিষয় নিয়েই অস্থির হয়ে যান। যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত হওয়ার উপায় হলো কিছু সময় আপনায় ইন্দ্রিয়গুলো বন্ধ করে রাখুন। এরপর নতুনভাবে শুরু করুন। এর ফলে আপনার মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয় হয়ে নতুনভাবে কাজ করবে।

গান শুনুন
নিজের মনকে শান্ত রাখার জন্য গান হলো সবচেয়ে বড় উপকরণ। গান শুনে নিজের মনকে ভালো রাখতে পারেন। গান মানুষের মনের ওপর অনেক বড় প্রভাব ফেলে। আপনি যখন অশান্ত থাকেন, তখন একটুখানি সময় বের করে আপনার প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে পারেন। দেখবেন জাদুর মতো কাজ করবে।

দীর্ঘভাবে শ্বাস ফেলুন
যখন আপনি চাপ অনুভব করেন বা কোনো কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তখন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাস বেড়ে যায়। সে সময় আপনি কয়েকটি দীর্ঘশ্বাস নিলে খুব তাড়াতাড়ি শান্ত বোধ করবেন। দীর্ঘশ্বাস নেওয়ার জন্য আপনার বুকের ওপর এক হাত রাখুন এবং অপরটি আপনার পেটের নিচে রাখুন। বড় শ্বাস ফেলার জন্য আপনার শরীরকে ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে আপনার নাকের মাধ্যমে শ্বাস নিন।

ব্যায়াম করুন
নিজেকে শান্ত রাখার জন্য ব্যায়াম করতে পারেন। যখন আপনি কোনো কাজ বা বিষয় নিয়ে ঝামেলায় থাকেন, তখন ব্যায়াম করতে পারেন। এর ফলে আপনার পেশিগুলো আরও ভালোভাবে কাজ করবে। ব্যায়াম করার জন্য আপনি একটা শান্ত জায়গা খুঁজে বের করুন। সেটা কাজের জায়গার আশপাশেও হতে পারে। অল্প সময়ের শারীরিক এ কসরতটুকু আপনাকে আরও বেশি শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।

অ্যারোমাথেরাপির সাহায্য নিন
অ্যারোমাথেরাপি আপনাকে শান্ত করতে সাহায্য করতে পারে। চাপের জন্য চন্দন তেল বা এ ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এই তেল ব্যবহার করে ম্যাসেজ বা পা ঘষতে পারেন। চাইলে আপনি গরম পানিতে গোসল করতে পারেন।

কথা বলুন
কেউ যদি আপনার সঙ্গে কোনো একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান, তখন আপনি তাঁর সঙ্গে কথা বলুন। কথাগুলো সময় নিয়ে শুনুন। আপনি যে বিষয় নিয়ে ঝামেলার মধ্যে আছেন, সে বিষয়গুলো তিনি অনেক সুন্দরভাবে সমাধান করেছেন।
পরিকল্পনা করে কাজ করুন
যেকোনো কাজে আগে থেকে পরিকল্পনা করে করলে সেই কাজের সমাপ্তি খুব ভালো হয়। সুন্দরভাবে কাজটি শেষ করলে নিজেও শান্তি অনুভব করবেন।

নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য ঠিক করুন
বেশির ভাগ মানুষের অনেক লক্ষ্য থাকে এবং সেগুলো ঠিক করে কাজ করা শুরু করেন। আপনি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করুন। এরপর সে অনুযায়ী কাজটি সম্পন্ন করুন। ওই কাজ শেষ হওয়ার পর নতুন আরেকটি লক্ষ্য ঠিক করুন এবং সফলতার দিকে এগিয়ে যান।

নমনীয় হোন
আমরা যতটা যত্নসহকারে পরিকল্পনা করি, সে অনুযায়ী কাজ করি না। সব সময় নিজের ইচ্ছাকে সবকিছুর ওপর রাখার চেষ্টা করি। সবাইকে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা আমাদের মধ্যে থাকে না। এর ফলে অন্যের কোনো কিছু আমরা সহজে মেনে নিতে পারি না। যেকোনো কিছুতেই ভালো করার জন্য নমনীয় হোন। অন্যের কথা মন দিয়ে শুনুন এবং নিজেকে শান্ত রাখুন।

ইতিবাচক চিন্তা করুন
সব সময় ইতিবাচক থাকুন। ইতিবাচক চিন্তা করুন। দেখবেন আপনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো থাকবেন।

সূত্র: উইকি হাউ ও ফাস্ট কোম্পানি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *